মারাত্মক আহত পুত্রকে নিয়ে যা জানালেন কুমার বিশ্বজিৎ
Published: 31st, March 2025 GMT
দুই বছর আগে বরেণ্য সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত এক বছর ধরে দেশটির মিসিসাগার একটি রিহ্যাব সেন্টারে আছেন নিবিড়।
কুমার বিশ্বজিৎ এখন কানাডায় অবস্থান করছেন। সেখান থেকে দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন এই সংগীতশিল্পী। পুত্র নিবিড়ের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, “খুবই ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। এতটাই ধীরে হচ্ছে যে, এটাকে কোনোভাবেই অনেক বেশি অগ্রগতি বলা যাবে না। বছরখানেক ধরে রিহ্যাবে আছে। এখানে স্পিচথেরাপি, ফিজিওথেরাপি, স্টিমিউলেটেড থেরাপি চলছে। স্বাভাবিক জীবনের জন্য যা যা করণীয়, সবই করার চেষ্টা হচ্ছে।”
এখনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন না নিবিড়। তা জানিয়ে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, “প্রতিদিনই নিবিড়কে বাইরের পরিবেশ দেখানোর চেষ্টা চলে। এখনো কিছু শারীরিক সমস্যা আছে। নিজের পায়ে এখনো দাঁড়াতে পারে না। মাঝেমধ্যে মেশিনের মাধ্যমে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হয়। চিকিৎসকেরা বলেছেন, কিছু কিছু মাসল পাজম জায়গায় আছে। কথা বলার ব্যাপারটা কবে কখন হবে, কেউ বলতে পারেন না।”
আরো পড়ুন:
গাঁটের পয়সা খরচ করে অপমানিত হলেন গায়িকা নেহা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
গজারিয়ায় দীর্ঘ যানজট, দুর্ভোগ চরমে
নিবিড়ের শারীরিক উন্নতি ব্যাখ্যা করে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, “ডাকলে নিবিড় তাকায়। ঘাড় ডানে-বাঁয়ে ঘোরায়। মাঝেমধ্যে হাত-পা নিজে থেকে নাড়ে। খাবারদাবার কৃত্রিম উপায়ে দিতে হয়। শরীরে এখন অক্সিজেন দিতে হয় ২ পারসেন্ট। এই ২ পারসেন্ট অক্সিজেন ছাড়াই নিবিড় সাত-আট ঘণ্টা থাকতে পারে। এটাই বা কম কিসে!”
নিবিড় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে, তা নিয়ে আশাবাদী কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, “নিবিড়কে অনেক ওষুধ দিতে হয়, যার জন্য সার্বক্ষণিক নার্স দরকার। ইনএনটি সাপোর্টও দরকার। নিবিড় যেখানে আছে, ওদের রিহ্যাবে সাফল্যের হারও ভালো। এমনও আছে যে এ ধরনের রোগী পাঁচ বছর রিহ্যাবে থাকার পর পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে। আমরা যেমন আশাবাদী, রিহ্যাবের ওরাও আশাবাদী। এখন দেখা যাক, কী হয়।”
২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। টরন্টো পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, টরন্টো নগরীর অদূরে মিসিসাগা এলাকায় ৪২৭ হাইওয়ে ও ডানডাস ইন্টারসেকশনের সন্নিকটে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরিয়ান আলম দীপ্ত, শাহরিয়ার খান ও অ্যাঞ্জেলা বারৈ নামের ৩ বাংলাদেশি ছাত্র নিহত হন। নিবিড় কুমার এখনো চিকিৎসাধীন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জমি নিয়ে বিরোধ, চাটমোহরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০
পাবনার চাটমোহরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
ঈদের পরদিন মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আহতরা হলেন- কুকড়াগাড়ি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন, ধানকুনিয়া গ্রামের রুমা খাতুন, ইদ্রিস আলী, শাহাদৎ হোসেন, সোলাইমান হোসেন, মুক্তা খাতুন, আখিরুল ইসলাম, উজ্জ্বল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শিবলু হোসেন, ইতিয়ারা খাতুন, হৃদয় হোসেন, রাসেল হোসেন, সাথী খাতুন, শামসুন্নাহার, আবু হানিফ, আম্বিয়া খাতুন, হাবিবুর রহমান, হাবিল প্রামানিক, সলকী খাতুন। অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী ও মোন্নাফ প্রামানিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে ওই জমি নিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজনই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা জেনারলে হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।