সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খোল‌পেটুয়া নদীর বে‌ড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লা‌বিত হয়েছে। কয়েক শত মৎস‌্য ঘের পানিতে ভেসে গেছে। 

হঠাৎ করে বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ঈদের আনন্দ গ্রামবাসীর নিরানন্দে পরিণত হয়েছে। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন পয়েন্টে বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।

সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা সা‌ড়ে ৯টার দি‌কে আশাশুনি উপ‌জেলার বিছট গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ঘেরের বাসার কাছ থেকে প্রায় দেড়শত ফুট বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীরগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

আরো পড়ুন:

গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়ন: ভারত যাচ্ছে বাংলাদেশের দল

সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ৪৫ ভাগ শেষ হয়নি

বিছট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, সকালে তারা ঈদের নামাজ আদায়ে ব্যস্ত ছিলেন। নামাজ শেষে জানতে পারেন, প্রায় দেড়শত ফুট বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীরগর্ভে ধ‌সে প‌ড়ে‌ছে। বিষয়টি গ্রামের মসজিদের মাইকে প্রচার করে দ্রুত লোকজনকে ভাঙন পয়েন্টে যেতে বলা হয়। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙন পয়েন্টে একটি বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা ক‌রে। দীর্ঘ সা‌ড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা ক‌রেও শেষ রক্ষা হয়‌নি। সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে প্রবল জোয়া‌রের তো‌ড়ে বা‌ধের অব‌শিষ্টাংশ ভে‌ঙে গি‌য়ে লোকাল‌য়ে পা‌নি ঢুক‌তে শুরু ক‌রে।

স্থানীয়রা জানান, ইতোম‌ধ্যে বিছট, বল্লবপুর, নয়াখালী, আনু‌লিয়াসহ আশপা‌শের কয়েকটি গ্রা‌মে পা‌নি ঢুকে‌ছে। শত শত মৎস‌্য খামার ভে‌সে গে‌ছে। দ্রুততম সম‌য়ে বাঁধ বাধ‌তে না পার‌লে পার্শ্ববর্তী খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নও প্লা‌বিত হ‌তে পা‌রে।

স্থানীয় আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিছট গ্রামে বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। বেড়িবাঁধের প্রায় দেড়শত ফুট নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে হ‌য়ে‌ছে। পাউবোর লোকজন ঈদের ছু‌টি‌তে। তারা ফেরার চেষ্টা কর‌ছেন।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবে) বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো.

সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেড়িবাঁধে ভাঙনের খবর পেয়ে কর্মকর্তাদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত পদ‌ক্ষেপ নেওয়া হ‌চ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।
 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ গ র মব স

এছাড়াও পড়ুন:

আলোচিত মহেশ বাবু কত কোটি টাকার মালিক?

‘প্রিন্স অব টলিউড’খ্যাত অভিনেতা মহেশ বাবু। পর্দায় অসাধারণ অভিনয় এবং অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব গুণের কারণে অসংখ্য ভক্ত তার। ১৯৭৯ সালে ‘নিডা’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে ‘রাজাকুমাড়ু’ সিনেমার মাধ্যমে নায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। এরপর যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি অঢেল অর্থেরও মালিক হয়েছেন।

হঠাৎ অর্থ জালিয়াতি মামলায় মহেশ বাবুর নাম জড়িয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৮ এপ্রিল ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মূলত, রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার কারণে মহেশের নাম এই মামলায় জড়িয়েছে। ফলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন এই তারকা অভিনেতা। চলুন জেনে নিই, মহেশ ঠিক কত টাকার মালিক-

সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, তেলেগু সিনেমার সবচেয়ে ধনী তারকাদের একজন মহেশ বাবু। চলতি বছরের হিসাব অনুযায়ী, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩০০-৩৫০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২৭-৪৯৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা)। এর মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে ৪৮ কোটি রুপির মালিক হয়েছেন তিনি।  

২০০৫ সালে ‘আথাড়ু’ সিনেমার জন্য ৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন মহেশ বাবু। তারপর কেটে গেছে দুই দশক। বর্তমানে প্রতি সিনেমার জন্য ৬০-৮০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। তার পরবর্তী সিনেমা ‘এসএসএমবি২৯’। এটি পরিচালনা করছেন এস এস রাজামৌলি।

জানা যায়, রাজামৌলির এ সিনেমার জন্য কোনো পারিশ্রমিক নেবেন না মহেশ বাবু। তবে রাজামৌলি ও মহেশ বাবু সিনেমাটির লভ্যাংশ নেবেন। এতে করে ১০০-১৫০ কোটি রুপি আয় করতে পারবেন মহেশ বাবু।

আইএমডিবি’র তথ্য অনুসারে, মহেশ বাবু তার প্রথম সিনেমার জন্য ৭৫ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। গত বছরের হিসাব অনুযায়ী, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩০০ কোটি রুপি (৪২৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার বেশি)।

মহেশ বাবু অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘গুন্তুর করম’। এটি পরিচালনা করেন ত্রিবিক্রম শ্রীনিবাস। গত বছরের ১২ জানুয়ারি মুক্তি পায় এটি। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন মীনাক্ষী চৌধুরী ও শ্রীলীলা। তাছাড়াও অভিনয় করেন— জগপতি বাবু, জয়রাম, ব্রাহ্মানন্দ, রামায়্যা কৃষ্ণান, প্রকাশ রাজ, রেখা, সুনীল প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ