জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের পর যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় শহিদ জাহাঙ্গীরের বাসায় যান এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এ সময় তিনি সরকারের পক্ষ থেকে শহিদ জাহাঙ্গীরের পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রসঙ্গত, গত বছর ২০ জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে জাহাঙ্গীর শহিদ হন। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। 

জাহাঙ্গীরের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শহিদ সুমাইয়ার বাসায় যান। সেখানে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন। 

এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সুমাইয়ার মতো অসংখ্য মানুষ বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের হাতে নির্মমভাবে খুনের শিকার হয়েছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে।’’

উপদেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে শহিদ সুমাইয়ার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। 

উল্লেখ্য গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে নিজ বাসায় শহিদ হন সুমাইয়া।

এএএম//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র র উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত সুমাইয়ার বাড়িতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ

ছাত্রজনতার আন্দোলনে গত বছরের ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান গার্মেন্টসকর্মী সুমাইয়ার আক্তার। তার পরিবার ও শিশু সুয়াইবার সঙ্গে ঈদুল ফিতরের দিন (সোমবার) দেখা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা  মাহফুজ আলম। তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুলাহ আল আমিন, তামিম আহমেদ ও দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত জামিল। এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম শহীদ সুমাইয়ার মায়ের হাতে ঈদ উপহার ও আর্থ সহায়তা করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্রজনতার গণআন্দোলনে ঘরের বরান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা গার্মেন্টর্কমী সুমাইয়া আক্তার (২০) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন। মারা যাওয়ার সময় সুমাইয়া আড়াই মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রেখে যান। মা হারা সেই সুয়াইবার প্রথম ঈদ কাটলো আজ। এখন সুয়াইবার বয়স প্রায় ১০ মাস।

সুয়াইবার বাবা জাহিদও তার কোনো খোঁজখবর নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সুমাইয়ার পরিবার। এজন্যই মা-বাবাহীন সুয়াইবার ঈদ কাটছে নানি-খালা-মামার স্নেহ ভালবাসায়। দেশব্যাপী ছাত্র-জনতা যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কাঁচপুর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে বাবা মায়ের কাছে বেড়াতে এসেছিলেন সুমাইয়া তার শিশু সুয়াইবাকে নিয়ে। আন্দোলনের সময় বাড়ির চার তলায় শিশু সুয়াইবাকে ঘুম পাড়িয়ে ২০ জুলাই বিকেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের দৃশ্য দেখছিলেন সুমাইয়া। হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া একটি গুলি বারান্দার গ্রিল দিয়ে ঢুকে তার মাথায় বিদ্ধ হয়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন সুমাইয়া। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সড়কেই মৃত্যু হয় সুমাইয়ার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত সুমাইয়ার বাড়িতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ
  • ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার পাওয়ায় জুলাইকন্যাদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
  • যুক্তরাষ্ট্রের ‌‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার পাওয়ায় জুলাই কন্যাদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন