ঈদের অভিজ্ঞতা তো দূরের কথা, মা-বাবার স্মৃতিই মনে নেই: মিঠু
Published: 31st, March 2025 GMT
তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষ করে ঈদে তাঁরা কী করেন, কোথায় যান কিংবা পারিবারিকভাবে কীভাবে তাঁরা ঈদের দিন উৎযাপন করেন- প্রায়ই এসব প্রশ্ন করেন ভক্তরা। অভিনেত্রী মনিরা মিঠু জানালেন, বড় হওয়ায় পর এখন আর আগের মতো ঈদের আনন্দ নেই। এখন ছোটদের আনন্দ দেখতেই বেশি ভালো লাগে তাঁর।
ছোটবেলা ঈদের স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে মনিরা মিঠু সমকালকে বলেন, ‘ছোটবেলায় নতুন জামা-কাপড় পড়ে হৈহুল্লোর করে ঘুরতে বেরিয়ে যেতাম। এখন আর সেটা হয় না। এখন রান্না নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। মেহমানদের আপ্যায়ন করতে হয়। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। বড় হয়ে গেছি- এখন ছোটদের আনন্দ দেখি।’ ঈদের দিন নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী মনিরা মিঠু।
একেবারেই ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তখন থেকেই দাদিও বড় ভাইদের কাছে সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন তিনি।
মনিরা মিঠু কথায়, ‘সেই অর্থে আমি আমার মাকে দেখিনি। মা-বাবার বিষয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। সত্যি কথা বলতে, বাবা-মা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। ঈদের দিনের অভিজ্ঞতা তো থাক দূরের কথা।’
ছোটবেলার ঈদের দিনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় আমার ভাই অভিনেতা তোফাজ্জল হোসেন সাদিক (চ্যালেঞ্জার) ও মেজভাই জীবিত ছিলেন। সবাই মিলে ঈদ করতাম। আনন্দ ছিল। ভাইয়েরা এখন নেই। বোনটাও এখন অসুস্থ। মেজভাইকে ছাড়া দ্বিতীয়বার ঈদ করতে হচ্ছে। তাদের কথা চিন্তায় আসলে খুব খারাপ লাগে। যা হোক, পরিবার নিয়ে এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনার আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন সুস্থ থাকি, আগামী ঈদটা যেন সুস্থভাবে করতে পারি।’
এবার ঈদে ছোট ও বড় পর্দায় পাওয়া যাবে মনিরা মিঠুকে। তার মধ্যে ‘দাগি’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় হাজির হচ্ছেন তিনি। এছাড়া বেশ কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঈদে আমার অভিনীত দাগি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এখানে আছেন আফরান নিশো, তমা মির্জাসহ আরও অনেকে। এখান দর্শক আমাকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে পাবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মন র ম ঠ অভ ন ত র ঈদ র দ ন আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত কি পাকিস্তানে পানিপ্রবাহ আটকে দিতে পারবে
ভারত কি সত্যিই পাকিস্তানে প্রবাহিত সিন্ধু ও এর দুটি শাখা নদ–নদীর পানি আটকে দিতে পারবে? ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত মঙ্গলবার এক ভয়াবহ হামলার জেরে নয়াদিল্লি সিন্ধু অববাহিকার ছয় নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক একটি চুক্তি স্থগিত করায় অনেকের মনেই এ প্রশ্ন উঠছে।
১৯৬০ সালে এই চুক্তি করে ভারত-পাকিস্তান। এরপর পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটি দুবার যুদ্ধে জড়ালেও চুক্তিটি স্থগিত হয়নি। তাই এতদিন আন্তসীমান্ত পানি ব্যবস্থাপনার এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে এই চুক্তি।
আন্তসীমান্ত সন্ত্রাসী তৎপরতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে শুধু এই চুক্তিই স্থগিত নয়, আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত; যদিও এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়ে ভারতকে সতর্ক করে বলেছে, যদি ভারত পানি আটকে দেয়, তবে তা হবে ‘যুদ্ধের শামিল’।
চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু অববাহিকার পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি নদী ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রুর পানি ব্যবহার করতে পারবে ভারত। অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি নদ–নদী সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাবের ৮০ শতাংশ পানি পাকিস্তান ব্যবহার করতে পারবে।
তবে এই চুক্তি নিয়ে অতীতে বিরোধ তৈরি হয়েছিল। এসব নদ–নদীতে বাঁধ দিয়ে ভারতের পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন ও অবকাঠামো প্রকল্প নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল পাকিস্তান। তাদের যুক্তি ছিল, এতে নদীর পানির প্রবাহ কমে যাবে এবং এটা চুক্তির লঙ্ঘন। (পাকিস্তানের ৮০ শতাংশের বেশি কৃষিকাজ ও এক-তৃতীয়াংশ পানিবিদ্যুৎ সিন্ধু অববাহিকার পানির ওপর নির্ভরশীল)।
এদিকে ভারত জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সেচ, সুপেয় পানি ও পানিবিদ্যুতের চাহিদার কথা বলে চুক্তিটি পর্যালোচনা এবং এতে কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়ে আসছিল।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিল বিশ্বব্যাংক। দীর্ঘ এই সময়ে চুক্তিটি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান আইনি লড়াই চলেছে।
কিন্তু এবারই প্রথম কোনো একটি পক্ষ চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। কাজটি করেছে ভারত। কারণ, উজানের দেশ হিসেবে এ ক্ষেত্রে ভৌগোলিকভাবে তারা আছে সুবিধাজনক অবস্থানে।
কিন্তু এই চুক্তি স্থগিত বলতে আসলে কী বোঝায়? ভারত কি সিন্ধু অববাহিকার পানি আটকে বা সরিয়ে পাকিস্তানের জনজীবনের জন্য অতি জরুরি এ পানি থেকে তাদের বঞ্চিত করতে পারবে? সেটা কি আদৌ ভারতের পক্ষে সম্ভব?
শুষ্ক সিন্ধু নদের তীরে হাঁটছে লোকজন, ১৫ মার্চ ২০২৫, জামশোরো, পাকিস্তান