সারা ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাতে সামিল হন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার রেড রোডে। নামাজে ইমামতি করে কাজি ফজলুর রহমান। লাখো মুসল্লি এতে অংশ নেন। এছাড়াও নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, পার্ক সার্কাস, ময়দান, খিদিরপুরসহ রাজ্যের অসংখ্য মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষেই একে অপরকে আলিঙ্গন, কুশল বিনিময় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। 

তবে ঈদের নামাজ শুরুর আগেই স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দাবি করে কলকাতায় সংহতি মিছিলে অংশ নেন মুসল্লিরা। হাতে ব্যানার এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখর ছিল মিছিলটি। বিশাল মিছিল নিয়ে কলকাতার রেড রোডে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। বড়দের পাশাপাশি অনেক বাচ্চারাও সেই মিছিলে শামিল হয়। 

ওই মিছিলে অংশগ্রহণকারী শেখ আমির নামে এক মুসুল্লি জানান, ‘আজকে আমাদের খুশির দিন, আনন্দের দিন। কিন্তু ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনেদের সঙ্গে যে অন্যায় হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারাও যেন শান্তিতে থাকতে পারেন। আমরা যেভাবে পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করছি, ঠিক সেভাবে তারাও যেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ পালন করতে পারেন। আমি যেমন আমার বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে এসে নামাজ আদায় করছি, ঠিক তারাও যেমন এ রকম করতে পারেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে অত্যাচার এবং জুলুম হচ্ছে। নিরপরাধ বাচ্চাদের হত্যা করা হচ্ছে সেটা কি অপরাধ নয়? ইসরায়েলের উচিত ওই বাচ্চাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা। ইসরায়েলের আক্রমণে যেসব বাচ্চারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি।’ 

পরে রেড রোডের ঈদের নামাজে অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মমতার ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা প্রমুখ। 

পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঈদ পালিত হচ্ছে দিল্লি, লখনৌ, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, জম্মু-কাশ্মীর, ভোপাল, পাটনাসহ দেশের প্রতিটি শহরে। দিল্লির জামা মসজিদে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ নেন। 

সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে দুইটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল নাগপুর, মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে। নাশকতা এড়াতে দিল্লিসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শহরেই ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি।

এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেও দেখা যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কলক ত কলক ত মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের জামাতে মুসল্লিদের ঢল

বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের জামায়াত উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা মসজিদের প্রাঙ্গণে ভিড় জমান।

মুসল্লিদের আধিক্যের কারণে মসজিদে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসলিমদের সুবিধার্থে মূল মসজিদ কমপ্লেক্সের বাইরে উত্তর ও দক্ষিণ পাশে দুটি প্যান্ডেল করা হয়। সেখানেও মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করেন খানজাহান আলী (রহ.) মাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা খালিদ।

সকাল সোয়া ৮টায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন। তৃতীয় ও শেষ জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মাদ্রাসার প্রভাষক ও মৌলভীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ।

প্রতিটি জামাতে মুসাল্লিদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং কোলাকুলি মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় তাদের। সব মিলিয়ে ঈদের জামাত উপলক্ষে ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। প্রথম জামাতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানসহ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাতিরঝিলে নৌ ভ্রমণ বাড়িয়েছে ঈদের আনন্দ 
  • প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদির চিঠি
  • অধ্যাপক ইউনূসকে ঈদের শুভেচ্ছা নরেন্দ্র মোদির
  • অধ্যাপক ইউনূসকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শাহবাজ শরিফের ফোন
  • কলকাতায় ঈদের দিন স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে মিছিল
  • ঈদের ছুটিতে বিনোদনকেন্দ্র ও রিসোর্টের ব্যবসা কেমন, আছে নানা অফার
  • কিংবদন্তিরা ‘চুল আঁচড়ানো–শেভ করা’ নিয়ে কথা বলায় ঈদ আড্ডায় নাসিমের বিরক্তি
  • রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে চলছে ঈদমেলা খাবার, পোশাক, নাগরদোলা—সবই আছে
  • ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের জামাতে মুসল্লিদের ঢল