পঞ্চগড়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সারা বিশ্বের মজলুম মুসলমানদের জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি।

সোমবার (৩১ মার্চ) পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতে অংশ নেন সারজিস আলম। নামাজ আদায় শেষে তিনি মুসল্লিদের উদ্দেশে বলেন, “ফ্যাসিস্টমুক্ত নতুন বাংলাদেশে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।”

পরে সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, “পৃথিবীতে অনেক মজলুম মুসলিম ভাই-বোন আছেন। তারা আমাদের মতো করে ঈদ করতে পারছেন না। ভারতে উগ্র সাম্প্রদায়িক কিছু হিন্দুত্ববাদি গোষ্ঠী আছে, তাদের কাছে আমাদের মুসলিম ভাইরা মজলুম। ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে মুসলিম ভাইয়েরা মজলুম হিসেবে আছেন। আমাদের দেশে মিয়ানমারের অনেক মুসলিম মজলুম ভাইয়েরা রয়েছেন। আমরা পৃথিবীর সকল মুসলিম ভাইয়ের জন্য দোয়া করব। পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য দোয়া করব। যেন আমরা একসাথে আমাদের মনের সংকীর্ণতা আমাদের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে দেশের জন্য মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে যেন এমন কিছু করে যেতে পারি, যাতে ইহকাল-পরকালে শান্তি পাই।”

তিনি বলেন, “রমজানের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো—তাকওয়া অর্জন করা, সকল নেতিবাচক কাজ থেকে দূরে থাকা। আল্লাহর প্রতি যেমন বান্দার হক আছে, তেমনই বান্দার প্রতি আল্লাহর হক আছে। এই হক যেন আমরা আমাদের জায়গা থেকে আদায় করতে পারি।”

ঈদের নামাজ আদায় করতে আটোয়ারী উপজেলা থেকে পঞ্চগড় জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে আসেন সারজিস আলম। নামাজ শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করেন তিনি।

ঢাকা/নাঈম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য দ য় আম দ র মজল ম

এছাড়াও পড়ুন:

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ১৮

ভারতের গুজরাটের একটি আতশবাজির কারখানা ও গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার ফলে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। সূত্র- বিবিসি বাংলা

গুজরাটের পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার সকালে গুজরাটের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে আতশবাজির কারখানায় হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়।

বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সে সময় ঘটনাস্থলে কারখানার শ্রমিকেরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গোডাউনের একাংশেই শ্রমিকেরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিস্ফোরণে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান উপস্থিতদের অনেকেই।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনের একটি স্ল্যাব ধসে পড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। নিহতরা মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।

তিনি বলেন, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা করেছেন তিনি। 

বনাসকাণ্ঠা জেলার কালেক্টর মিহির প্যাটেল বলেন, তীব্র বিস্ফোরণে কারখানার আরসিসি স্ল্যাব ধসে পড়েছে। জেসিবি মেশিনের মাধ্যমে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু হয়।

প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে, বাজি তৈরির কাজ চলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।

স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় কারখানায় কাজ হচ্ছিল।

হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহূর্তে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। চারিদিক থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে তখন ভেতরে কাজ চলছিল। কমপক্ষে ৩৫ জন ছিলেন সেখানে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছি।

তবে ওই কারখানায় ঘটনার সময় ঠিক কতজন উপস্থিত ছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ