কলকাতার রেড রোডে ঈদের ঐতিহাসিক জামাত অনুষ্ঠিত
Published: 31st, March 2025 GMT
পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতজুড়েই আজ সোমবার উদ্যাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রতিবছর প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে কলকাতার ধর্মতলার রেড রোডে। এবারও সেই রেড রোডে আয়োজন করা হয়েছে এই জামাতের। আজ বৃষ্টিহীন কলকাতায় আবহাওয়াও কিছুটা ঠান্ডা। এই পরিবেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মনের আনন্দে ঈদের খুশিতে নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা শুভেচ্ছা বিনিময়, কোলাকুলি করেছেন যথারীতি একে অপরের সঙ্গে। সেই সঙ্গে দেশের উন্নয়ন ও সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ সকালে কলকাতার রেড রোডের ঈদের জামাতে উপস্থিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন মুসল্লিদের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা।
মমতা তাঁর শুভেচ্ছা ভাষণে বলেন, ‘সকলে শান্তিতে থাকুন। ধর্মের নামে এখানে কাউকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘সব ধর্ম রক্ষা করার জন্য আমি জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘ধর্মের ব্যবসা করে এখানকার একটি রাজনৈতিক দল। প্ররোচনা দেয়। দাঙ্গার ওই সব প্ররোচনায় পা দেবেন না। আজ লাল-গেরুয়া এক হয়ে গেছে। আমরা সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাইলে মনে করবেন এই দিদি আপনাদের পাশে আছেন।’
কলকাতার রেড রোডের ঈদের জামাতের পর সেখানে উপস্থিত হয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কলক ত র
এছাড়াও পড়ুন:
গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ১৮
ভারতের গুজরাটের একটি আতশবাজির কারখানা ও গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার ফলে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। সূত্র- বিবিসি বাংলা
গুজরাটের পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার সকালে গুজরাটের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে আতশবাজির কারখানায় হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়।
বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সে সময় ঘটনাস্থলে কারখানার শ্রমিকেরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গোডাউনের একাংশেই শ্রমিকেরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিস্ফোরণে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান উপস্থিতদের অনেকেই।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনের একটি স্ল্যাব ধসে পড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। নিহতরা মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
তিনি বলেন, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা করেছেন তিনি।
বনাসকাণ্ঠা জেলার কালেক্টর মিহির প্যাটেল বলেন, তীব্র বিস্ফোরণে কারখানার আরসিসি স্ল্যাব ধসে পড়েছে। জেসিবি মেশিনের মাধ্যমে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু হয়।
প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে, বাজি তৈরির কাজ চলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।
স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় কারখানায় কাজ হচ্ছিল।
হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহূর্তে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। চারিদিক থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে তখন ভেতরে কাজ চলছিল। কমপক্ষে ৩৫ জন ছিলেন সেখানে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছি।
তবে ওই কারখানায় ঘটনার সময় ঠিক কতজন উপস্থিত ছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি কর্মকর্তারা।