লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জ উপজেলায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমানের (বাচ্চু) ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার মাহফুজ আলমের নিজ গ্রাম রামগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর মোল্লাবাড়িতে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ করেছে মাহফুজ আলমের পরিবার।

মাহফুজ আলমের পরিবারের দাবি, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী শুক্কুর আলীর নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আজিজুর রহমান হাতে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ইটের আঘাতে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এ সময় তাঁর একজন আত্মীয়ও আহত হয়েছেন। আজিজুর রহমান ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারীরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বড় ভাই মাহবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের জেলা সহসভাপতি মেহেদী হাসান (মঞ্জু) রোববার এলাকায় এলে বিএনপি, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীদের দুটি পক্ষ সন্ধ্যার দিকে তাঁকে ধরতে যায়। একপর্যায় বিএনপির নেতা–কর্মীরা ছাত্রলীগ নেতার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে বাদানুবাদ, হাতাহাতি শুরু করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-স্বেচ্ছাসবেক দলের নেতা–কর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের জড়ান। ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীদের দুই পক্ষ সংঘর্ষ থামাতে গেলে তখন গ্রামবাসীর সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়ান। তখন আজিজুর রহমান এ ত্রিমুখী সংঘর্ষ থামাতে গেলে তাঁর ওপর হামলা করেন ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীরা।

ঘটনার পর থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী শুক্কুর আলী গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার রোববার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে তর্ক–বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। তখন আজিজুল রহমান উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে আঘাত করে। হাতে আঘাত পেলে তাঁকে হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আজ জ র রহম ন ক দল র ন ত ছ ত রদল স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

দোহায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা 

আর্থনা সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছেন ।

প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি সোমবার (২১ এপ্রিল) কাতারের স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে দোহায় হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধান উপদেষ্টাকে বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা জানান কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আমাদের উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান’। 

সরকারপ্রধানের চার দিনের এ সফরের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আর্থনা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি এ সফরে কাতারের সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ২৪ এপ্রিল মধ্যরাতের পর তার দেশে ফেরার সূচি রয়েছে।

সফরে জ্বালানি উপদেষ্টার যাওয়ার তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, “কাতারের সঙ্গে আমাদের এলএনজি নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে। ভিসা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে আলাপ করবেন। এছাড়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়েও আলাপ হবে। কাতারের উদ্যোক্তাদের নিয়ে ২৩ এপ্রিল বাণিজ্য সম্মেলন হবে, আশা করি সাড়া পাব।”

কাতারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আড়াই ঘণ্টার একটি সম্মেলন হবে, এমন তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সম্মেলনে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সম্পৃক্ত অনেকেই অংশ নেবেন। আশা করি ফলপ্রসূ বৈঠক হবে। আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা সম্মেলনের প্রাক-প্রস্তুতি বৈঠক এটি।”

কাতার প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হবে কি না জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, “এ পরিকল্পনা আমাদের অনেক দিন ধরেই আছে। এ বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কথা বলছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। যাতে করে দেশটির বাজার আমাদের জন্য উন্মুক্ত হয়। আরো শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে নেয়, সে বিষয়ে আমরা দেখছি।”

“একইভাবে অন্যান্য যেসব দেশে আমাদের ভাই-বোনেরা কাজ পেতে পারেন তা নিয়ে কাজ করছি।”শ্রমবাজারগুলোতে আরো ভালো বেতনে, বেশি সংখ্যক কর্মী যাতে যেতে পারেন সেটা সরকারের অগ্রাধিকার বলে তুলে ধরেন তিনি।

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চার নারী ক্রীড়াবিদ সরকার প্রধানের সফরসঙ্গী হয়েছেন। এই চার জন হলেন- ফুটবলার আফিদা খন্দকার ও শাহেদা আখতার রিপা এবং ক্রিকেটার সুমাইয়া আখতার ও শারমিন সুলতানা।

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/ইভা 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ