Samakal:
2025-04-01@22:31:10 GMT

ঈদ আমাদের জন্য না: আফরান নিশো

Published: 31st, March 2025 GMT

ঈদ আমাদের জন্য না: আফরান নিশো

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। আর এই ঈদের আনন্দ ছোট-বড় নির্বিশেষে সবার মাঝেই ছড়িয়ে যায়। ব্যতিক্রম নেই তারকাদের ক্ষেত্রেও। সাধারণ মানুষের মতোই আয়োজন করে ঈদ উৎসব পালন করেন তাঁরা। সম্প্রতি ঈদে স্মৃতি শেয়ার করেছেন অভিনেতা আফরান নিশো। তাঁর মতে, সচ্ছল বা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করা মানুষের জন্য ঈদ না।

আফরান নিশো বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা যারা সচ্ছল বা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছি তাদের জন্য ঈদ না। কারণ, আমরা চাইলেই প্রতিদিন শপিং করতে পারি। যারা দরিদ্র, যারা তিন বেলা ঠিক মতো খেতে পারে না তাদের জন্য ঈদ। আমাদের উচিৎ সব সময় তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। এই একটা ঈদের দিন যেন তাদেরও ঈদের দিনের মত কাটে। একই অর্থে আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বিষয়গুলো আছে সেই জায়গা থেকে আমাদেরই সেই দায়িত্বগুলো পালন করা উচিৎ।’

ছোটবেলার ঈদের সালামি নিয়ে নিশো বলেন, ‘সালামি নিয়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। সেই অনুভূতি দারুণ। আমি আমার দাদাকে দেখিনি। দাদি-নানা-নানিকে পেয়েছি। ছোটবেলা ঈদ আসলেই সালামির একটা প্রবণতা কাজ করতো। আমার মনে পড়ে, নানির কাছ থেকে একটু বেশি টাকা নিয়ে একটা মোবাইল ফোন কিনেছিলাম। আর এখন সালামি অনেকটা অনলাইন কেন্দ্রিক হয়ে গেছে।’

এখন ঈদের দিন কীভাবে কাটে- জানতে চাইলে নিশো বলেন, “ঈদের দিন অবশ্যই খুশির। আমার কাছে মনে হয় এটা আমার জন্য ঘুমের একটি দিন। কারণ, আমি ঘুমাতে পছন্দ করি। রাস্তা ফাঁকা তাই আপন মনে গাড়ি চালাই। এই ধরণের আমার কিছু নিজস্বতা আছে। সেগুলো নিয়েই আমার ঈদের দিন কাটে। এছাড়া এবার ঈদটা কিছু ভিন্ন হবে। কারণ আমার সিনেমা ‘দাগি’ আসছে। যারা আমার জন্য পুরো বছর অপেক্ষা করে ছিলেন তাদের সিনেমাটি দেখে তাঁদের জীবনবোধ সৃষ্টি হয় তাহলেই আমার ঈদ সার্থক।”

প্রসঙ্গত, ঈদ উপলক্ষে আজ মুক্তি পেয়েছে আফরান নিশো অভিনীত সিনেমা ‘দাগি’। এতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, মিলি বাশার, রাশেদ মামুন অপুসহ অনেকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ আফর ন ন শ ঈদ র দ ন আম দ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ১৮

ভারতের গুজরাটের একটি আতশবাজির কারখানা ও গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার ফলে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। সূত্র- বিবিসি বাংলা

গুজরাটের পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার সকালে গুজরাটের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে আতশবাজির কারখানায় হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়।

বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সে সময় ঘটনাস্থলে কারখানার শ্রমিকেরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গোডাউনের একাংশেই শ্রমিকেরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিস্ফোরণে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান উপস্থিতদের অনেকেই।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনের একটি স্ল্যাব ধসে পড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। নিহতরা মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।

তিনি বলেন, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা করেছেন তিনি। 

বনাসকাণ্ঠা জেলার কালেক্টর মিহির প্যাটেল বলেন, তীব্র বিস্ফোরণে কারখানার আরসিসি স্ল্যাব ধসে পড়েছে। জেসিবি মেশিনের মাধ্যমে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু হয়।

প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে, বাজি তৈরির কাজ চলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।

স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় কারখানায় কাজ হচ্ছিল।

হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহূর্তে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। চারিদিক থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে তখন ভেতরে কাজ চলছিল। কমপক্ষে ৩৫ জন ছিলেন সেখানে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছি।

তবে ওই কারখানায় ঘটনার সময় ঠিক কতজন উপস্থিত ছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ