ঈদের শুভেচ্ছায় হামজা-জামালদের বার্তা
Published: 31st, March 2025 GMT
ঈদ উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ভক্ত-সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানাতে ভুলেননি দেশের তারকা ক্রীড়াবিদরা। ক'দিন আগে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়া হামজা দেওয়ান চৌধুরী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের সমর্থকদের। জুনে আবারও লাল-সবুজের হয়ে মাঠে নামার প্রত্যয়ও জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি দেশের ফুটবলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে নজর কাড়েন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। ইংল্যান্ডে ফিরে গেলেও, সমর্থকদের ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি তিনি। এক ভিডিও বার্তায় হামজা বলেন, ‘আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। সবার সঙ্গে দ্রুত আবার দেখা হবে।’
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সমর্থকদের। তিনি বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম সবাইকে! ঈদ মোবারক। আশা করি সবাই পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন।’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শুভেচ্ছা জানিয়ে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছে। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও গোলরক্ষক আমিনুল হকও ঈদের খুশি ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, সৌদি আরবে খেলার সুবাদে মধ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা গড়ে উঠেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। তাই তো ঐতিহ্যবাহী জোব্বা পরে, সৌদি জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে এবং হাতে তলোয়ার নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে রোনালদো লিখেছেন, ‘এই বিশেষ সময়টি আপনাদের জন্য আনন্দ, শান্তি ও সুখ বয়ে আনুক।’
রোনালদোর ক্লাব আল নাসর ও সৌদি আরবের আরেক জনপ্রিয় ক্লাব আল হিলালও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ র শ ভ চ ছ সমর থকদ র ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইইউ
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ব্রাসেলস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি । চীনের সংবাদমাধ্যম সিএমজি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ৭০টির বেশি দেশের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য সীমিত করার একটি পরিকল্পনা চলছে।
দ্য আইরিশ টাইমস জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের চাওয়া- ইইউ যেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি পক্ষ বেছে নেয়। তবে ইউরোপীয় কমিশনের উপমুখপাত্র আরিয়ানা পোদেস্তা স্পষ্টভাবে বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই আলোচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের চীন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
তিনি জানান, চীন-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন। তাঁর পক্ষ থেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও বজায় রাখা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ঝুঁকি হ্রাস করা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নয়।
ইউরোপের ভ্যাট এবং টেক জায়ান্টদের বিভিন্ন নিয়মকে অন্যায্য সুবিধা মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে কমিশন বলেছে, ইউরোপের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার প্রশ্নে কোনো আপস হবে না।
ভন ডার লায়েন জানান, বিশ্ব ব্যবস্থা যত অনিশ্চিত হচ্ছে, ইউরোপের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী দেশের সংখ্যাও বাড়ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ও ইইউকে বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ব্রুগেলের সিনিয়র ফেলো আন্দ্রে সাপিরও বলেছেন, মার্কিন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় ইইউর একটি আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বাণিজ্য জোট গঠন করা উচিত।
তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারা প্রকাশিত উন্মুক্ত ও নিয়মভিত্তিক বাণিজ্যের জন্য ইইউ নেতাদের জি-২০ এবং জি-২০-বহির্ভূত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।