এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে রোববার রাতে (৩০ মার্চ) বোর্নমাউথের মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ওমর মারমুশের গোলে ২-১ ব্যবধানের জয়ে সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে ম্যানসিটি। অপর গোলটি করেন আরলিং হালান্ড। যদিও তিনি শুরুতে পেনাল্টি মিস করেছিলেন। 

এদিন ম্যাচের ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ম্যানসিটি। এ সময় পেনাল্টি পেয়েছিল তারা। কিন্তু স্ট্রাইকার হালান্ডের নেওয়া শট বামদিকে ঝাপিয়ে পড়ে রুখে দেন বোর্নমাউথের গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা। এরপর ২১ মিনিটে বোর্নমাউথের স্ট্রাইকার এভানিলসন গোলপোস্টের কাছ থেকে বল জালে পাঠিয়ে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন। তাতে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্কাই ব্লুজরা।

বিরতির পর কোচ পেপ গার্দিওলা ২০ বছর বয়সী নিকো ও’রেইলিকে মাঠে নামান। মাঠে নেমেই তিনি গোলের সুযোগ তৈরি করে দেন। ৪৯ মিনিটে তার বাড়ানো বল থেকে হালান্ড জোরালো শটে গোল করে সমতা ফেরান।

এর কিছুক্ষণ পর হালান্ড গোড়ালির চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন। তার বদলি হিসেবে নামানো হয় মারমুশকে। যিনি মাঠে নামার মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই গোল করে সিটিকে সেমিফাইনালের টিকিট পাইয়ে দেন।

সেমিফাইনালে ম্যানসিটি পেয়েছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ নটিংহ্যাম ফরেস্টকে। যাদের বিপক্ষে আগামী ২৬ এপ্রিল ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে তারা।

এদিকে অপর কোয়ার্টার ফাইনালে প্রেস্টন নর্থ ইন্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে অ্যাস্টন ভিলাও। তারা ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ক্রিস্টাল প্যালেসের।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঘোড়ার গাড়িতে ইমামের রাজকীয় বিদায়, পেনশন পেলেন ৯ লাখ টাকা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নতুন কহেলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতীবকে তিন যুগ ইমামতি শেষে রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ইমামকে এককালীন পেনশন হিসেবে দেওয়া হয়েছে ৯ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের নতুন কহেলা এলাকায় গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালে মাওলানা মোহাম্মদ শাজাহান খান নতুন কহেলা জামে মসজিদে ইমাম ও খতিব হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দীর্ঘ ৩৪ বছর ইমামতি করেন তিনি। গ্রামের প্রতিটি মানুষের সাথে তার রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীকে তিনি কুরআন শিখিয়েছেন। তার শেষ বয়সে এলাকাবাসী ইমামকে সম্মানিত করতে সজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি টমটমে করে বিদায় দিয়েছেন। এছাড়া ঘোড়ার গাড়ি বহরের সঙ্গী হয়েছে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল। গ্রামবাসীরা হাত নেড়ে ইমামের কর্মজীবনের শেষ বিদায় জানান।

১৯৯১ সালে যুবক বয়সে ৬০০ টাকা বেতন পাওয়া ইমামের বিদায়কালে বেতন হয় ১৭ হাজার পাঁচশত টাকা। তিনি মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের মৃত কুরবান আলীর ছেলে।

তিনি ঢাকার লালবাগের একটি স্বনামধন্য মাদ্রাসা থেকে মাওলানা পাস করেন। পরে তিনি এই মসজিদে ইমাম হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তার মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী সে সময়ে ৬০০ টাকা বেতন ধার্য করা হয়। দীর্ঘ ৩৪ বছরের ইমামতি পেশায় থাকাকালীন এলাকায় ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন। ফলে তার বিদায় বেলায় এককালীন পেনশন দেওয়া হয়েছে ৯ লাখ ৩ শত টাকা।

২০২৪ সালে গ্রামের পক্ষ থেকে এই ইমামকে ওমরাহ হজে পাঠানো হয়। এ ছাড়া, গ্রামের মানুষ নানা ধরনের উপহার দিয়ে বিদায় জানান। তার বিদায় সফরসঙ্গী হয়ে গ্রামের প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ ৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ইমামের নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসেন। এমন বিদায় জানাতে পেরে খুশি স্থানীয় গ্রামবাসীরাও। এমন ব্যতিক্রমী বিদায়ে এলাকাবাসীর ভালোবাসার কাছে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে কৃতজ্ঞতা জানান ইমাম।

বিদায় সংবর্ধনা পাওয়া ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ শাজাহান খান বলেন, আমি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার মানুষের জানাজা পড়িয়েছি। ৬০০ জনকে কোরআন শিক্ষা দিয়েছি। আল্লাহর রহমতে আমি কাজগুলো করতে পেরেছি, এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমার বিদায়বেলায় এলাকার মানুষ এত বড় আয়োজন করেছে তার জন্য এলাকার মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

নতুন কহেলা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাশেম খান বলেন, ইমান মাওলানা মোহাম্মদ শাজাহান খান তার চাকরি জীবনে গ্রামের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এই ইমামের প্রতি যে গ্রামবাসীর ভালবাসা তা জনশ্রুতেই বুঝা যায়।

নতুন কহেলা জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি সেলিম খান বলেন, এমন বিদায় সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি এলাকার মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। ইমামের পরবর্তী জীবন ভালো কাটতে সরকারি চাকুরীর মত পেনশন দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ