হালান্ড-মারমুশে ম্যানসিটি সেমিফাইনালে
Published: 31st, March 2025 GMT
এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে রোববার রাতে (৩০ মার্চ) বোর্নমাউথের মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ওমর মারমুশের গোলে ২-১ ব্যবধানের জয়ে সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে ম্যানসিটি। অপর গোলটি করেন আরলিং হালান্ড। যদিও তিনি শুরুতে পেনাল্টি মিস করেছিলেন।
এদিন ম্যাচের ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ম্যানসিটি। এ সময় পেনাল্টি পেয়েছিল তারা। কিন্তু স্ট্রাইকার হালান্ডের নেওয়া শট বামদিকে ঝাপিয়ে পড়ে রুখে দেন বোর্নমাউথের গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা। এরপর ২১ মিনিটে বোর্নমাউথের স্ট্রাইকার এভানিলসন গোলপোস্টের কাছ থেকে বল জালে পাঠিয়ে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন। তাতে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্কাই ব্লুজরা।
বিরতির পর কোচ পেপ গার্দিওলা ২০ বছর বয়সী নিকো ও’রেইলিকে মাঠে নামান। মাঠে নেমেই তিনি গোলের সুযোগ তৈরি করে দেন। ৪৯ মিনিটে তার বাড়ানো বল থেকে হালান্ড জোরালো শটে গোল করে সমতা ফেরান।
এর কিছুক্ষণ পর হালান্ড গোড়ালির চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন। তার বদলি হিসেবে নামানো হয় মারমুশকে। যিনি মাঠে নামার মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই গোল করে সিটিকে সেমিফাইনালের টিকিট পাইয়ে দেন।
সেমিফাইনালে ম্যানসিটি পেয়েছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ নটিংহ্যাম ফরেস্টকে। যাদের বিপক্ষে আগামী ২৬ এপ্রিল ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে তারা।
এদিকে অপর কোয়ার্টার ফাইনালে প্রেস্টন নর্থ ইন্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে অ্যাস্টন ভিলাও। তারা ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ক্রিস্টাল প্যালেসের।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
জিনদের আবাস
হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) ‘কার’-বিশিষ্ট ভূমিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করছেন। কারণ সেটা জিনদের আবাসস্থল। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘কার’ কি? তিনি বলেন, ঘন ঝাড়-জঙ্গল, গাছপালা ঘেরা নিম্নাঞ্চল। এ ছাড়া জনবসতির শৌচাগার, গোসলখানা, নোংরা ও অপবিত্র স্থান, আবর্জনার স্তূপ এবং কবরস্থানে দুষ্ট জিন-শয়তান বিচরণ করে। তিনি বলেছেন, ‘নিশ্চয় শৌচাগারে দুষ্ট জিন-শয়তান উপস্থিত থাকে। তাই তোমরা যখন সেখানে প্রবেশ করবে তখন বলবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিলান খুবুসি ওয়াল খবাইস।’ অর্থাৎ, আমি আল্লাহর কাছে যাবতীয় দুষ্ট পুরুষ ও নারী জিন ও শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৬)
হাদিস অনুযায়ী শৌচাগার হলো, যেখানে নাপাক থাকে বা শরীর বস্ত্রহীন করতে হয়, সেসব জায়গায় শয়তানের আনাগোনা থাকে। মানুষকে বিবস্ত্র করা শয়তানের অন্যতম একটি কাজ। কারণ আল্লাহর এবং বান্দার মধ্য আবরণ হলো লজ্জা। আদম ও হাওয়া (আ.) যখন আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছিলেন, প্রথমেই তাদের শরীর থেকে জান্নাতের পোশাক খুলে গিয়েছিল।
আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫নবীজি (সা.) মাটির গর্তে প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন। এতে জিনদের বসবাসের স্থান।’ (আবুদাউদ, হাদিস: ২৯)
কবরস্থানে জিনেরা সাধারণত মানুষের মতোই যাতায়াত করে। আবার কখনো অবস্থান করে দীর্ঘদিন। ভালো-মন্দ সব ধরনের—এমনকি সেখানে দুষ্ট প্রকৃতির জিন-শয়তানরাও অবস্থান করে।
একটা ভুল ধারণা লোকসমাজে প্রসিদ্ধ আছে, ‘বদকারদের কবরের আজাবের ভয়ে জিনেরা কবরস্থানে থাকে না।’ অথচ নবীজি বলেছেন, ‘অতঃপর তার জন্য লোহার বিশাল হাতুড়িধারী একজন অন্ধ ও বধির ফেরেশতা নিযুক্ত করা হয়। সেই ফেরেশতা ওই হাতুড়ি দিয়ে অবিশ্বাসীকে এমন জোরে আঘাত করে; যার আওয়াজ মানুষ ও জিন ছাড়া পূর্ব-পশ্চিমের সব সৃষ্টি শুনতে পায়।’ (আবু দাউদ, ৪,৭৫৩)
এ ছাড়া বাজার ও দোকানপাটে দুষ্ট জিন-শয়তানের আনাগোনা বেশি থাকে। আল্লাহর রাসুল (সা.) জানিয়েছেন, ‘বাজারে শয়তান তার যুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ২,৪৫১)
আরও পড়ুনএকদল জিন পবিত্র কোরআন শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন২০ নভেম্বর ২০২৩