ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে দেশ গড়ার প্রত্যয় প্রধান উপদেষ্টার
Published: 31st, March 2025 GMT
যত বাধা আসুক ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দেশে ও দেশের বাইরে যারা আছেন তাদের সবাইকে ঈদ মোবারক যাচ্ছি। ঈদ ভালোবাসার দিন। আজকে সেই দিনটা যেন ভালোভাবে উদযাপন করতে পারি সেই দোয়া করি। আজ ঐক্যের দিন। আমাদের এই ঐক্য সব সময় ধরে রাখতে হবে।”
জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতদের স্মরণ করে তিনি বলেন, “যারা আমাদের দেশের জন্য আহত ও শহীদ হয়েছেন তাদের জন্য দোয়া করি। আমাদের এই ঐক্য যেন স্থায়ী হয় তার জন্য কাজ করতে হবে।”
ঢাকা/মামুন/রায়হান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে আহতদের জন্য রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণ সহায়তা
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সহায়তা হিসেবে দেশটিতে এক টন হাইজিন কিট পাঠিয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস)।
মঙ্গলবার সকালে সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম (অব.) কুর্মিটোলা বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান এভিএম জাভেদ তানভীরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০ প্যাকেট হাইজিন কিট হস্তান্তর করেন।
অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৮ টন শুকনো খাবার, ২.৫ টন পানি, ৪ টন ওষুধ, ১ টন হাইজিন পণ্য এবং ১.৫ টন ত্রাণ তাঁবু।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তিনটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে জরুরি ওষুধ এবং ত্রাণ সামগ্রীর দ্বিতীয় চালানে এ সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও ৩৭ জন সদস্যসহ মোট ৫৫ জন উদ্ধারকারী এবং চিকিৎসককে মিয়ানমারের জন্য জরুরি উদ্ধার কাজ ও সহায়তায় পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
ত্রাণ সহায়তা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম উদ দৌলা, কর্নেল শফিক (সামরিক অভিযান) এবং বিডিআরসিএস এর ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক মো. মিজানুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে মিয়ানমারে জরুরি ত্রাণ সামগ্রীর প্রথম চালান পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল ওষুধ, তাঁবু, শুকনো খাবার এবং চিকিৎসক দল।