জাপান–বিশ্বব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ, ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা
Published: 31st, March 2025 GMT
বিশ্বব্যাংকের তালিকাভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বৃত্তি আছে। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ আছে এ বৃত্তিতে। বৃত্তির কিতাবি নাম ‘জয়েন্ট জাপান ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ’। জাপান ও বিশ্বব্যাংক স্নাতকোত্তরে বৃত্তি নিয়ে বিশ্বের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ মেলে এ বৃত্তি পেলে।
প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা দুটি সময়ে এ বৃত্তির জন্য আবেদন করার সুযোগ পান। অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো-১–এ আবেদন শেষ হয়েছে। অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো-২–এ আবেদন শুরু হয়েছে ২৫ মার্চ থেকে। নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৪ সালের জুনের দিকে।
২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলো—জয়েন্ট জাপান ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আওতায় অষ্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি, ব্রান্ডিজ ইউনির্ভাসিটি, কলম্বিয়া ইউনির্ভাসিটি, স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, ইরাসমাস ইউনির্ভাসিটি, হার্ভার্ড ইউনির্ভাসিটি, আইএইচই ডেলফ্ট ইন্সটিউট ফর ওয়াটার এডুকেশন, জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি, কিও ইউনিভার্সিটি, কেআইটি–রয়েল ট্রপিক্যাল ইন্সটিটিউট, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সেস, ন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট ফর পলিসি স্ট্যাডিজ, সাইতামা ইউনিভার্সিটি, এসওএএস–ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, স্ট্যানফোর্ড ইউনির্ভাসিটি, ইউনির্ভাসিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া–বার্কলে, ইউনির্ভাসিটি ক্লেরমন্ট, ইউনির্ভাসিটি ফেলিক্স, ইউনির্ভাসিটি অব লিডস, ইউনির্ভাসিটি অব অক্সফোর্ড, ইউনির্ভাসিটি অব টুকুবা, ইউলিয়াম কলেজ—সেন্টার ফর ডেভেলবমেন্ট ইকোনোমিকস, ইয়েল ইউনির্ভাসিটি–স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট, ইয়াকোহামা ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটিতে (২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়) পড়ার সুযোগ মিলবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাংকের তালিকাভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপে আবেদনের সুযোগ পাবেন।
এআই দিয়ে তৈরি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন র ভ স ট ইউন ভ র স ট
এছাড়াও পড়ুন:
এসএসসি ২০২৫ : তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিতে বেশি নম্বর পাওয়ার কৌশল
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়টি বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা তিনটি শাখার ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দিতে হবে। এর মানে হলো সব শাখার ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। পরীক্ষা ২৩ এপ্রিলে। পরীক্ষার মোট নম্বর ৫০। বহুনির্বাচনি অংশে ২৫ নম্বর এবং ২৫ নম্বর ব্যবহারিক অংশে। মোট ২৫টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে, উত্তর করতে হবে সব কটি প্রশ্নের। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর।
*১ম অধ্যায়
প্রথম অধ্যায়টি হলো তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি এবং আমাদের বাংলাদেশ নিয়ে। প্রযুক্তির বিভিন্ন তথ্য ও বাংলাদেশে এই প্রযুক্তি কোথায় কোথায় কীভাবে রয়েছে তার ওপর বিভিন্ন তথ্য পড়তে হবে। ই-মেইল, ই-লার্নিং, ই-গভর্ন্যান্স, ই-কমার্স, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ডিজিটাল বাংলাদেশের ওপর দরকারি প্রশ্ন থাকবে। তাই এ অধ্যায়টি বারবার মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
তোমাকে মনে রাখতে হবে, একই ধরনের দুটি প্রশ্ন, কিন্তু উত্তর ভিন্ন যেমন একুশ শতকের সম্পদ হলো ‘জ্ঞান’ এবং পৃথিবীর সম্পদ হলো ‘সাধারণ মানুষ’। আবার বিনা তারে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বার্তা প্রেরণের প্রথম সফল বাঙালি বিজ্ঞানী হলেন ‘স্যার জগদীশচন্দ্র বসু।’ তেমনি আরেকটি প্রশ্ন হতে পারে—এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য প্রেরণে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করেন—‘বিজ্ঞানী গুগলিয়েলমো মার্কনি।’ এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর বুঝে পড়তে হবে।
আরও পড়ুনস্কুলে দীর্ঘ ছুটির ফাঁদে পড়াশোনা শিকেয় ওঠে১৯ এপ্রিল ২০২৫*২য় অধ্যায়
কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা নিয়ে এই দ্বিতীয় অধ্যায়। তুমি কম্পিউটার ভাইরাস, অ্যান্টিভাইরাস, পাসওয়ার্ড, ইন্টারনেট ব্যবহারের অসাধ্য পাইরেসি, ট্রাবলশুটিং বিষয়ে অনেক প্রশ্ন থাকবে।
মনে রাখতে হবে, আইসিটি যন্ত্র বলতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্টফোন ইত্যাদি বোঝায়। এ ক্ষেত্রে জ্ঞানমূলক ও উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্নের উত্তরের সময় বিষয়টি অবশ্যই মনে রাখতে হবে। সফটওয়্যার ডিলিট ও আনইনস্টল করা এক কথা নয়।
কম্পিউটার ভাইরাস ও অ্যান্টিভাইরাসের নামগুলোর পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। সিডি, পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ড সহজে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণ ট্রাবলশুটিংয়ের প্রতিটি সমস্যা ও সমাধানের জন্য বাস্তব জ্ঞান থাকতে ভুল হবে। যেমন সিস্টেম চালু না হওয়ার কারণ, মনিটরে কিছু না দেখা, সিস্টেম গরম হয়ে যাওয়া, কম্পিউটার মাঝেমধ্যে শাটডাউন হওয়া, উইন্ডোজ চালুর সময় হ্যাং হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
*৩য় অধ্যায়
তোমার পাঠ্যবইয়ের তৃতীয় অধ্যায় হলো আমার শিক্ষার ইন্টারনেট। এ অধ্যায়ে ডিজিটাল কনটেন্ট, ভিডিও, অ্যানিমেশন, ই-বুক, ফ্রিল্যান্স ইত্যাদি বিষয়ে ভালো করে রিভিশন দেবে। তবেই তোমার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন কমন পড়বে।
ডিজিটাল কনটেন্ট ও এর প্রকারভেদের নাম ও উদাহরণগুলো ভালো করে পড়বে। এ অধ্যায়ে তোমরা প্রায়ই কিছু বিষয়কে একই বিষয় মনে করে ভুল থাকো। যেমন টেক্সট, ছবি, শব্দ, অডিও, ভিডিও, অ্যানিমেশন।
তা ছাড়া ই-বুক, ই-বুক রিডার, চৌকস ই-বুক, ভিডিও স্ট্রিমিং, কিন্ডল অ্যাপস সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখবে। কয়েকটি ক্যারিয়ারের নাম তোমরা জানো কম্পিউটার সায়েন্স, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ডেটা কমিউনিকেশন।
আরও পড়ুনএসএসসি–২০২৫ পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের শেষ মুহূর্তের করণীয়০৬ এপ্রিল ২০২৫*৪র্থ অধ্যায়
আমার লেখালেখি ও হিসাব অধ্যায়টি চতুর্থ অধ্যায়। ওয়ার্ড প্রসেসর, স্পেস চেকার, ফ্রন্ট, টেবিল করা, স্প্রেডশিট প্রোগ্রামসহ তোমার লেখালেখি ও হিসাবের জন্য দরকারি।
অনেক সময় ব্যবহারিক কিছু অংশের বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ক্ষেত্রে সফটওয়্যারের ভার্সন পরিবর্তনের কারণে তোমরা কিছু কিছু ভুল করে থাক। ওয়ার্ড ২০০৭-এর সঙ্গে ওয়ার্ড ২০১০-এর কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারিক জ্ঞান থাকলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অফিস বাটনসহ এর বিভিন্ন অপশনগুলো যেমন নিউ, ওপেন, সেভ, সেভ এজ, ক্লোজ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। হোম ট্যাব, ফন্ট স্টাইল, ফন্ট সাইজ, ইনসার্ট ট্যাব থেকে টেবিল তৈরি করার কৌশল জানতে হবে।
*৫ম অধ্যায়
তোমার পাঠ্যবইয়ের পঞ্চম অধ্যায় হলো মাল্টিমিডিয়া ও গ্রাফিকস। এখানে মাল্টিমিডিয়া, ভিডিও, প্রেজেন্টেশন, পিক্সেল, স্ট্রোক, ইলাস্ট্রেটর ইত্যাদি বিষয়ে ঠিক করলে তোমার এ অধ্যায়ের ভালো নম্বর পাবে।
এ অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত বর্ণ বা টেক্সট, চিত্র বা গ্রাফিকস, ভিডিও, শব্দ বা অডিওর সঙ্গে তৃতীয় অধ্যায়ের বিষয় টেক্সট, ছবি, শব্দ, অডিও, ভিডিও, অ্যানিমেশনের মধ্যে ভুল করে থাক। মাল্টিমিডিয়ার অংশসমূহ টেক্সট বা বর্ণ, চিত্র ও গ্রাফিকস, শব্দ বা অডিও, ভিডিও, অ্যানিমেশন ও ইন্টারঅ্যাকটিভ কম্পিউটিং সম্পর্কে ভালো করে পড়বে।
মনে রেখো কয়েকটি কথা১.
প্রতিটি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ৵ ও তত্ত্বগুলো মনোযোগসহকারে আরেকবার দেখে নেবে।
২.
খেয়াল রাখবে তোমার পড়া ও জানা কোনো তথ্য ভুল না হয়।
৩.
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকবে। যাতে ভুল করে অন্য কোনো প্রশ্নে বৃত্ত ভরাট না করো। কারণ, ওএমআর শিটে ভুল ঠিক করা যাবে না।
৪.
পরীক্ষার আগের দুদিন সময় পাবে। তাই পাঠ৵বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় ভালো করে রিভিশন দাও। তাতে ভালো প্রস্তুতি নিতে পারবে।
*লেখক: প্রশান্ত কুমার দাস, সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা