এয়ারপোর্টে চাল–ডাল হারানোর ক্ষোভ ঘুচিয়ে দিল লোলো মোরা
Published: 31st, March 2025 GMT
ইমিগ্রেশন শেষ করে বিমানবন্দরের লাগেজ বেল্ট থেকে বের হতেই একটা চেকিং পয়েন্ট। সেখানে আমার লাগেজ খুলল। ভেতর থেকে বের করে আনল এক কেজি চাল আর আধা কেজি মসুর ডাল। কোনো কথা না বলেই ফেলে দিল ডাস্টবিনে। আমার বুকটা মোচড় দিয়ে উঠল। বললাম, শুকনা খাবার তো? দোষটা কী?
বলল, ‘আমরা শস্য নেওয়ার অনুমতি দিই না।’
একটা লম্বা নিশ্বাস নিলাম। দ্রুত বেদনা কমানোর চেষ্টা। চলে যাচ্ছিলাম। আবার ঘাড় ঘুরিয়ে অভিমান নিয়ে বললাম, ‘আমার ডালের বাক্সটা দিয়ে দাও। ওটা তো শস্য নয়।’
পুলিশের পোশাক পরা নারী কর্মকর্তাটি তাঁর গ্লাভস পরিহিত হাতটা ঢুকিয়ে দিলেন ডাস্টবিনে। উঠিয়ে আনলেন আমার বাক্স। ডাল ফেলে দিয়ে ফেরত দিলেন। ডাল-চাল হারিয়েছি তো কী হয়েছে, আমার বাক্সটা তো উদ্ধার করতে পেরেছি। ইমিগ্রেশনে এ–ও কম বাহাদুরি নয়!
কোস্টারিকার সান হোসে শহরের সেন্ট্রাল মার্কেটে বিশেষ আকর্ষণ ‘লোলো মোরা’, এটি আইসক্রিমের দোকান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমি যুদ্ধাপরাধী না, অথচ আমার ওপর যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেছে
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জন্মস্থানের একটা মায়া-ভালোবাসা আছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আপনাদের সামনে ২৪ বছর পর কথা বলার সুযোগ হয়েছে। কুলাউড়ার মানুষ আমাকে যেভাবে চেনে অন্য কেউ সেভাবে চেনে না।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) কুলাউড়া উপজেলা জামায়াত আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি কি যুদ্ধাপরাধী? না; অথচ আমার ওপর যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল সাড়ে ১২ বছর। সাড়ে ১২ বছরের ছেলে যুদ্ধের সময়ে মানুষ খুন করতে পারে—এটা বিশ্বাসযোগ্য কথা? তা-ও চেষ্টা করা হয়েছে। কেউ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগও দেয়নি, সাক্ষ্যও দেয়নি। হিন্দু ভাইয়েরাও তাতে রাজি হয়নি। আমি সেই সময় জামায়াতে ইসলামীও করতাম না। আমি অন্য একটা সংগঠন করতাম। যেটা বলতে এখন লজ্জা হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত জালিম সরকারের আমলে আমরা ১১ জন শীর্ষ নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। ৫ শতাধিক মানুষ পঙ্গু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ হামলা-মামলার শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল। আগস্টের ১ তারিখ আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় আল্লাহকে বলেছিলাম, ৪ দিন পর আল্লাহর বিচার হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের সঙ্গে আমরাও ছিলাম। জালিমের মাথা আল্লাহ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।
জামায়াত আমির বলেন, আমি প্রত্যেক শহীদের বাড়িতে যদি যেতে পারতাম। তাদের সন্তান কোলে নিতে পারতাম। যাদের বাড়ি গিয়েছিলাম তাদের জিজ্ঞেস করেছি কেমন আছেন, তারা শুধু টপটপ করে চোখের পানি ফেলেছেন। জানতে চেয়েছিলাম—কী চান? তারা বলেছিলেন, জালিমের হাতে দেশটা যেন আর না যায়। দেশটা আপনাদের হাতে দেখতে চাই। এমন একটা দেশ দেখতে চাই যেখানে চাঁদাবাজ, ঘুষখোর ও সুদখোরদের ঠাঁই হবে না। আমরা একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে হিন্দু-মুসলিম কিংবা মেজরিটি-মাইনরিটি বলে কিছু থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, দুঃশাসন এবং জুলুমের কারণে আপনাদের মুখ দেখতে পারিনি। আজ প্রাণখুলে দেখতে চাই।
পুনর্মিলনীতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলালের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট মহানগরীর আমির মো. ফখরুল ইসলাম।