সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত
Published: 31st, March 2025 GMT
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদের প্রধান জামাতের ব্যবস্থাপনায় থাকছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। খবর বাসসের
ঈদের প্রধান জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড.
বৈরি আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া জানান, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির জন্য নামাজের স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নেবেন।
ঢাকাবাসীকে প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছি, যাতে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন।’
মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য পদক্ষেপের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জানান, বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ, র্যাব অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। ওজু ও টয়লেটের সুব্যবস্থার জন্য মুসল্লিদের সুবিধায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, জরুরি স্বাস্থ্য সেবার জন্য মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে। সুপেয় পানির সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। নামাজ আদায়ের জন্য পবিত্র ও আরামদায়ক কার্পেট ও খাওয়ার পানির ব্যবস্থা থাকবে, সেহেতু মুসল্লিদের জায়নামাজ এবং পানি নিয়ে আসার কোনো প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, মুসল্লিদের প্রবেশের জন্য দুইটি এবং নির্বিঘ্নে বাহির হওয়ার জন্য পাঁচটি গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও মহিলাদের প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য সম্পূর্ণ পৃথক একটি গেট থাকবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ত য় ঈদগ হ জ ম ত অন ষ ঠ ব যবস থ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ, চার বছর পর অভিযান
চট্টগ্রাম নগরের প্রাণকেন্দ্র জামালখানের আসকার দীঘিরপাড় এলাকায় পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। ইতোমধ্যে ছয় তলার কাজ শেষ হয়েছে। নির্মাণযজ্ঞ শুরুর চার বছর পর হুঁশ ফিরেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ)। সোমবার ভবনটি উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে তারা। অবশ্য সিডিএ কর্মকর্তাদের দাবি, এতদিন আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় অভিযান চালাতে পারেননি তারা। যদিও আদালত নিষেধাজ্ঞা দেন গত বছরের ৩০ এপ্রিল।
স্থানীয়রা জানান, নগরীর আসকার দীঘির পূর্বপাড়ে শহীদ সাইফুদ্দিন সড়কের পাশের পাহাড়টি গ্রিনলেজ ব্যাংক পাহাড় নামে পরিচিত। ১২৭ ফুট উঁচু পাহাড়টিতে নির্মাণাধীন ভবনের জমির ক্রয়সূত্রে মালিক চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সজল চৌধুরী, খোকন ধর, হিমেল দাশ, সুভাষ নাথ, রনজিত কুমার দে, রূপক সেনগুপ্তসহ ৯২ জন। ২০১৯ সালে জমিটি কেনেন তারা। ২০২২ সালে আবাসন কোম্পানি ‘স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর নামে সিডিএর ইমারত নির্মাণ কমিটির কাছ থেকে তিনটি বেজমেন্ট ও ১৪ তলাসহ মোট ১৭ তলা ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, ভবন নির্মাণের আগে টিনের উঁচু ঘেরা দিয়ে পাহাড়টিকে দৃষ্টির আড়ালে নেওয়া হয়। এর পর সেটি ধীরে ধীরে কেটে ফেলা হয়। সিডিএ কর্মকর্তারা জানান, সিডিএ ৩০ কাঠার জমিতে স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ জায়গা খালি রাখার শর্ত দিয়ে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিল। পাশাপাশি পাহাড়ের অবয়ব ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণের শর্ত ছিল অনুমোদনে। সিডিএর এসব শর্ত না মেনে টিনের বেষ্টনী দিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ করেন মালিকরা। পাশাপাশি খালি জায়গা না রেখে পুরো জায়গায় ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়।
সিডিএর অথরাইজড কর্মকর্তা তানজিব হোসেন বলেন, পাহাড় কাটার পাশাপাশি শর্ত না মেনে ভবন নির্মাণ করায় ২০২৩ সালে তাদের নোটিশ দেয় সিডিএ। পরে সিডিএর আদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দন হাইকোর্ট। এই সুযোগে গোষ্ঠীটি ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। সিডিএ চেম্বার জজ আদালতে আপিল করে। আপিল বিভাগ গত রোববার শুনানি শেষে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। এর পর আমরা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি।
সরেজমিন দেখা যায়, পাহাড়টি কয়েক ধাপে কাটা হয়েছে। সড়কের পাশে পাহাড়ের সামনের অংশে তিন তলা বেজমেন্টসহ ছয় তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই হয়েছে। আর পাহাড়ের ওপরের অংশে ভবনের পাইলিংয়ের কাজ চলছে। সিডিএর অভিযানে বুলডোজার দিয়ে নির্মাণাধীন ভবনের সামনে টিনের প্রাচীর ভেঙে দেওয়া হয়। আর ভবনের পশ্চিম পাশের পিলারের একাংশ ভাঙা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিডিএর স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন সিডিএর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম, ইমারত নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান এ জি এম সেলিম, উপপ্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আবু ঈসা আনছারী ও অথরাইজড কর্মকর্তা তানজিব হোসেন।