ঈদের নামাজ খোলা জায়গা, মসজিদ কিংবা যেখানেই পড়া হোক না কেন, অবশ্যই তা জামাতের সঙ্গে পড়তে হবে। জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য যেসব শর্ত প্রয়োজন, ঈদের নামাজ আদায় করার জন্যও একই শর্ত প্রযোজ্য। সুতরাং জামাত ছাড়া ঈদের নামাজ আদায় করা যাবে না।
ঈদের নামাজ
ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইকামত নেই। তবে জুমার নামাজের মতোই উচ্চ আওয়াজে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। তবে ঈদের নামাজের পার্থক্য হলো অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির দিতে হবে।
প্রথম রাকাতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বেঁধে অতিরিক্ত তিন তাকবির দিয়ে সুরা ফাতিহা পড়া।
দ্বিতীয় রাকাতে সুরা মেলানোর পর অতিরিক্ত তিন তাকবির দিয়ে রুকতে যাওয়া।
আরও পড়ুনফিতরা কীভাবে হিসাব করব১১ মার্চ ২০২৫ঈদের নামাজের নিয়ত
ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ছয় তাকবিরের সঙ্গে এই ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি.
প্রথম রাকাত
১. তাকবিরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবার )
ঈদের নামাজে নিয়ত করে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বাঁধা।
২. সানা পড়া
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।
৩. অতিরিক্ত তিন তাকবির দেওয়া। (আল্লাহু আকবার )
এক তাকবির থেকে আরেক তাকবিরের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত থাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া এবং তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত বেঁধে নেওয়া।
৪. আউজুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ পড়া
৫. সুরা ফাতিহা পড়া
৬. সুরা মেলানো। তারপর নিয়মিত নামাজের মতো রুকু ও সিজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করা।
আরও পড়ুনঈদের দিনে কী করব১৫ জুন ২০২৪দ্বিতীয় রাকাত
১. বিসমিল্লাহ পড়া
২. সুরা ফাতিহা পড়া
৩. সুরা মেলানো।
৪. সুরা মেলানোর পর অতিরিক্ত তিন তাকবির দেওয়া। প্রথম রাকাতের মতো দুই তাকবিরে উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে দেওয়া; অতঃপর তৃতীয় তাকবির দিয়ে হাত বাঁধা।
৫. তারপর রুকুর তাকবির দিয়ে রুকুতে যাওয়া।
৬. সিজদা আদায় করে তাশাহহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
তাকবিরের বাংলা উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ
তারপর খুতবা
ঈদের নামাজ পড়ার পর ইমাম খুতবা দেবেন আর মুসল্লিরা খুতবা মনোযোগের সঙ্গে শুনবেন।
দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ ছয়টি অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরসহ আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজের অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরে ভুল হলে অর্থাৎ তাকবির কম বা বেশি হলে অথবা বাদ পড়লে সাহু সিজদা প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুনচাঁদরাত ও ঈদের দিনের আমল২১ এপ্রিল ২০২৩উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঈদ র ন ম জ র প রথম র ক ত আল ল হ র জন য আকব র
এছাড়াও পড়ুন:
চোর সন্দেহ শ্রমিকদল নেতাকে হত্যা: মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ৪
লক্ষ্মীপুরে চোর সন্দেহ চররুহিতার ৯নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের দপ্তর সম্পাদক রাজু হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত রাজু হোসেনের স্ত্রী জোসনা আক্তার বাদী হয়ে সোমবার (৩১ মার্চ) রাতে এ মামলা করেন।
মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ এবং ২৯ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা হচ্ছে, সদর উপজেলার শাকচর এলাকার কবির হোসেন, ইব্রাহিম খলিল, লিটন হোসেন ও রেখা বেগম। গ্রেপ্তারদের মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ। তিনি বলেন, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে চাচার হাঁসুয়ার কোপে ভাতিজা নিহত
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে শ্রমিকদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৪
রাজু হোসেন চররুহিতার ৯নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি রাজুর পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গ জড়িত। রাতের আধারে কবির হোসেন নামে এক ব্যক্তির অটোরিকশা চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে পিঠিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহিৃত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান শ্রমিকদলের নেতাকর্মীরা।
মামলা সুত্রে জানা যায়, রোববার (৩০ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার সবুজের গোঁজা এলাকায় প্রতিবেশী কবির হোসেনের ঘরে মোবাইল চার্জ দিয়ে যায় রাজু হোসেন। এ সময় রাজুকে চোর সন্দেহে আটক করে কবির হোসেন ও সহযোগীরা। এক পর্যায়ে অটোরিকশার চোর সন্দেহে কাজল কোম্পানীর ইটভাটার সামনের রাস্তায় গাছের সঙ্গে বেঁধে গণপিটুনি দেয়। পাশাপাশি রাতভর নির্যাতন চালানো হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সোমবার সকালে রাজুকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর মারা যায়। এরপর পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত কবির হোসেনসহ চারজনকে আটক করে। পরে তাদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ঢাকা/লিটন/বকুল