খুলনায় চাঁদরাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে শাওন নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত পৌ‌নে ৮টার দি‌কে নগরীর রূপসা বেড়িবাঁধ সড়কের বরফ ক‌লের সাম‌নে এ ঘটনা‌ ঘ‌টে। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাওনকে উদ্ধার ক‌রে খুলনা মেডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে ভর্তি করেন। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।

শাওন নতুন বাজার লঞ্চ ঘাটের পাশে তরিক গলির বা‌সিন্দা মো.

শুকুর আলীর ছে‌লে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, শাওন বাবার মাছ ব্যবসা দেখাশুনা ক‌রেন। রাত পৌ‌নে ৮টার দি‌কে ওই যুবক বা‌ড়ির পাশে এক‌টি চা‌য়ের দোকা‌নে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সম‌য় তিন মোটরসাইকেলে করে ছয় যুবক তা‌কে গু‌লি করে। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হ‌য়ে তার ডান হা‌তে বিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা এগি‌য়ে এলে দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ ক‌রে।

খুলনা থানার ওসি হাওলাদার স‌নোয়ার হুসাইন মাসুম ব‌লেন, শাওন‌কে সন্ত্রাসীরা বা‌ড়ির পা‌শেই গু‌লি ক‌রে‌ছে। কী কার‌ণে তা‌কে গু‌লি করা হ‌য়ে‌ছে, তা তদন্ত ক‌রে জানা যা‌বে। আসা‌মি‌দের গ্রেপ্তা‌রে অ‌ভিযান শুরু হ‌য়ে‌ছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ অর্ধশতাধিক

যশোরের অভয়নগরে হাড়ি ফুচকা খেয়ে অন্তত ৫০ জন অসুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪০ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। অন্যরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

চিকিৎসকরা জানান, খাবার প্রস্তুতে ত্রুটির কারণে একযোগে এত মানুষ অসুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও গর্ভবতী নারীসহ গুরুতর কিছু রোগী রয়েছে।

হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা জানান, অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া ভৈরব ব্রিজের পূর্বপাশে মনিরুজ্জামানের চটপটির দোকান রয়েছে। সেখানে হাড়ি ফুচকা নামে ফুচকা বিক্রি হচ্ছিল। ঈদের দিন বিকেলে সেখান থেকে অনেকে ফুচকা খান। রাত ১২টার দিকে তাদের বমি ও ডায়রিয়া শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকে অসুস্থরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুর রহমান রিজভী জানান, মঙ্গলবার বমি ও ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি শুরু করেছে। আস্তে আস্তে রোগীর পরিমাণ বাড়তে থাকে। দুপুর পর্যন্ত অন্তত অর্ধশতাধিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।

তিনি আরও বলেন, ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে শিশু ও গর্ভবতী নারীসহ গুরুতর কিছু রোগী রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ