Prothomalo:
2025-04-21@17:04:35 GMT

সব হারানো শিশুদের রঙিন ঈদ

Published: 30th, March 2025 GMT

ফাতেমা লাল টুকটুকে জামা পরেছে। দুই হাতে মেহেদি দেওয়া। একটু পরপর দেখছে মেহেদি নষ্ট হয়ে গেল কি না। অন্য শিশুরা কাছে গেলেই সে সতর্ক হয়ে যাচ্ছিল। একসময় দেখা গেল, মেহেদি রাঙা হাতেই হাতের আঙুল মুখে দিয়ে আপন মনে চুষছে।

শুধু ফাতেমা নয়, বিভিন্ন বয়সী ২১টি শিশুর বেশির ভাগেরই হাতে মেহেদি দেওয়া। তাদের মধ্যে কয়েক মাস বয়সী শিশুও রয়েছে।

আজ রোববার রাজধানীর আজিমপুরে ছোটমণি নিবাসে ঢুকতেই কে কার আগে হাতের মেহেদির নকশা দেখাবে, তাই নিয়ে লেগে গেল ঝগড়াঝাঁটি। ফলে কারও হাতের মেহেদিই আর ভালো করে দেখা গেল না।

ছবি তুলতে গেলেও একই সমস্যা। একজন হাত দেখায় তো আরেকজন হাত গুটিয়ে রাখে। আরেকজন গিয়ে একজনের নাকে মেহেদি লাগিয়ে দেয়। নাক লাল হয়ে গেল। আরেকজনের হাতের কনুইতে মেহেদি লাগিয়ে দিল আরেকজন।

এভাবেই হাতে মেহেদি দেওয়ার মধ্য দিয়ে ছোটমণি নিবাসের শিশুদের ঈদ উদ্‌যাপন শুরু হয়েছে। এরা হলো মা-বাবাহীন পরিত্যক্ত শিশু, দাবিদারহীন শিশু, উদ্ধার করা বিপন্ন শিশু ও আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু।

জন্মের পর এক দিন বয়স থেকে ৬ বছরের বেশি সময় পর্যন্ত এই শিশুরা ছোটমণি নিবাসে বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। থানা ও আদালতের মাধ্যমে শিশুদের এখানে পাঠানো হয়।

পরম মমতায় ছোট্ট শিশুকে কোলে নিয়েছেন ছোটমণি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক জুবলী বেগম। যিনি শিশুদের কাছে খালামণি নামে পরিচিত। ঢাকা, ৩০ মার্চ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর কজন

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি 

নোয়াখালীতে চব্বিশ ঘণ্টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে জেলা শহরে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলায় ধানের ফসলী জমিতে পানি জমে গেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত থেকে আজ (রবিবার) সকাল পর্যন্ত একটানা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। এতে বোরো ধানের ফসলী জমিতে পানি জমে গেছে। যার কারণে পাকা ধান কাটা, মাড়াই দেওয়া ও ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। 

ভারি বর্ষণে জেলা শহর মাইজদীতে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা সমস্যা। পৌরসভার ড্রেনগুলোর মুখ এবং খালের মুখে ময়লা আবর্জনা জমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

জাহাঙ্গীর নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, “প্রতি বছরই বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বৃষ্টির মৌসুম শুরুর আগে কতৃপক্ষ যদি শহরের ড্রেন- নালা পরিষ্কার করে তাহলে জলাবদ্ধতা হয়না। কিন্তু আমরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিরবতাই লক্ষ্য করছি।”

জিহাদ নামে আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, “এখন থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দপ্তরগুলো যৌথ উদ্যোগ না নিলে গতবারের মত বন্যার কবলে পড়বে নোয়াখালী জেলা শহর। আমরা ব্যবসায়ীরা আবারো সংকটে পড়ে যাব।” 

সিরাজ মিয়া নামে একজন কৃষক বলেন, “ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এমন সময় গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ধান তোলা নিয়ে সংশয়ে আছি। জমিতে পানি জমে গেছে। শ্রমিকও পাচ্ছিনা। ফলে লোকসানে পড়তে হবে।”

মনসুর নামে আরেকজন বলেন, “কাটা শেষে ধান স্তুপ করে রেখেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে সমস্যার মধ্যে পড়লাম। এখন কড়া রোদে শুকাতে হবে। যদি আবার বৃষ্টি হয় তাহলে ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।”

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আজ (রবিবার) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ঢাকা/সুজন/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চিকিৎসাকর্মীদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইসরায়েলি বক্তব্য মিথ্যা: গাজা কর্তৃপক্ষ
  • ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপের কাজ কী?
  • ক্ষমতার প্রথম ১০০ দিনে ট্রাম্পের যত আলোচিত উক্তি
  • আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি গোলরক্ষক হুগো গাত্তি আর নেই
  • ‘বিসিবি আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে’
  • শিক্ষকদের বিচারক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ কতটা যৌক্তিক
  • প্রাণনাশের ভয় নিয়ে পালাতে হয়েছিল, দাবি হাথুরুসিংহের
  • খাল–নালায় পড়ে মৃত্যুর দায় নেয় না, তদন্তও করে না
  • ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
  • নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি