পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দুই দিনে রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন প্রায় ৪১ লাখ মোবাইল সিম ব্যবহারকারী।

রবিবার (৩০ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ফেসবুক পোস্ট থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

ফেসবুক পোস্টে তিনি গত দুই দিনে সব মোবাইল অপারেটরের হিসাব তুলে ধরে জানান, ঈদের ছুটির দুই দিনে কী পরিমাণ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন।

আরো পড়ুন:

ঈদযাত্রা: শেষ মুহূর্তে সদরঘাটে স্বস্তির হাসি

কড়া নাড়ছে ঈদ, চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা

তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২৮ মার্চ) ঢাকা ছেড়েছেন ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৩৭ সিম ব্যবহারকারী । শনিবার (২৯ মার্চ) ঢাকা ত্যাগ করেছেন ২১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪ জন সিমধারী।

২৮ মার্চ ঢাকায় প্রবেশ করেন ৬ লাখ ১২ হাজার ৩৩২টি সিম ব্যবহারকারী এবং ২৯ মার্চ ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৪ সিমধারী।

রবিবার পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

ঢাকা/হাসান/রাসেল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ