সাত বছর পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপি সূত্রে পাওয়া পারিবারিক একটি ছবিতে বড় ছেলে তারেক রহমান, তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান ও বড় নাতনি জাইমা রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেখা গেছে।

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে যুক্তরাজ্য ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলোতে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করা হয়েছে। জিয়া পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, লন্ডন সময় আজ রোববার সকালে ঈদের নামাজ পড়ে বাসায় ফিরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাকে নিয়ে ছবিটি তুলেছেন।

এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসেন খালেদা জিয়া। ওই সময় তিন মাস তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করেন। এরপর দীর্ঘদিন কারাবন্দী থাকায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করা হয়নি তাঁর।

এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রোববার সকাল ১০টায় লন্ডনের কিংসমিডো স্টেডিয়ামের খোলা মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ উজ্জামান সোহেল জানিয়েছেন, তারেক রহমানের সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশ নিতে কিংসমিডো স্টেডিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক শ নেতা–কর্মী উপস্থিত হন।

লন্ডনের কিংসমিডো স্টেডিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা–কর্মীদের নিয়ে ঈদের জামাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন র ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

বেরোবি শিক্ষকের কুশপুত্তলিকায় জুতাপেটা

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন ও ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. তানজিউল ইসলাম জীবন এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. রশীদুল ইসলামের কুশপুত্তলিকায় জুতাপেটা করেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণচূড়া সড়কে এসব শিক্ষকদের শাস্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণচূড়া সড়কে অভিযুক্ত শিক্ষকদের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে তাতে জুতার মালা পরানো হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে- আমি নারীলোভী নিপীড়নকারী শিক্ষক। শিক্ষার্থীরা তাতে ‍জুতাপেটা করছে। 

কর্মসূচিতে বেরোবি শিক্ষার্থী রহমত আলী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও রেজাল্ট টেম্পারিংসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা এসব নিপীড়নের চর্চা বন্ধ করতে বিশেষ সেল গঠনের দাবি জানাচ্ছি।

আশিকুর রহমান বলেন, আমাদের দাবি একটাই অপকর্মের সাথে যে সকল শিক্ষক জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করতে সাহস না পায়। 

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিউল ইসলাম ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক রশিদুল ইসলামের স্ক্রিনশট, অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর যৌন হয়রানির বিষয়টি সামনে এসেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ