কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় একটি শালিসকে কেন্দ্র করে বিএনপি সমর্থকদের হামলায় এক আ.লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের হেমন্তগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম জজ মিয়া (৬৫)। তিনি হেমন্তগঞ্জ গ্রামের সুলমান মিয়ার ছেলে এবং আ.লীগের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাশেম মিয়া সমকালকে বলেন, কিছুদিন পূর্বে তাজুল নামে এক আওয়ামী সমর্থককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই ঘটনার জেরে এলাকায় উওেজনা বিরাজ করছিল। ঘটনাটি মীমাংসার জন্য হেমন্তগঞ্জ বাজারে একটি শালিস বসলে ওই সময় বিএনপির সমর্থক রাজিব, সজীব, নজির, বুলবুল ও মানিক এসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শালিসে হামলা চালায়। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ কর্মী জজ মিয়া নিহত হয়।

মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম জজ মিয়ার মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মরেদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

তপ্ত দুপুরে হাওরের পথে

মাঝ আকাশে সূর্য। প্রখর তীব্রতা নিয়ে যেন ঝরছে রোদ। চামড়াপোড়া এমন থমথমে গরমেও মাঝেমধ্যে শীতল বাতাস শরীর ধুয়ে দিচ্ছে! সুদূরে ডাকছে পাখি। পানি কমে চিকন হয়ে আসা খালে চুপটি মেরে শিকারের আশায় দাঁড়িয়ে আছে একঝাঁক সাদা বক। রাস্তার ধারে ফুটে আছে পিউম ফুল। ডানে-বাঁয়ে দিগন্তবিস্তৃত সবুজ ধানখেত। খেতে দাঁড়িয়ে থাকা হিজল-করচে গজিয়েছে কচি পাতা।

সম্প্রতি হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হাওর ঘুরে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে। বর্ষায় হাওরের যে রূপ, শুকনা মৌসুমে তা একেবারেই বিপরীত। যে হাওর বর্ষায় অনেকটা সমুদ্রের মতো, শুকনা মৌসুমে সেখানেই মাটি ফেটে চৌচির। কিছু খাল-নদীতে পানি থাকলেও তা যৎসামান্য। আবার কোনো কোনো জলাশয় তো শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে! কোথাও একাকী, আবার কোথাও দলবেঁধে দাঁড়িয়ে আছে হিজল-করচগাছ।

সদ্য শেষ হওয়া চৈত্র মাসের এক দুপুরে হাওরের আঁকাবাঁকা পাকা-কাঁচা রাস্তা ধরে এই প্রতিবেদক যান। বানিয়াচং উপজেলা সদর থেকে রওনা হয়ে লক্ষ্মীবাঁওড় জলাবন (খরতির জঙ্গল) পেরিয়ে জেলার আজমিরীগঞ্জের পাহাড়পুর বাজার পর্যন্ত যাওয়ার পথে দেখা মেলে শতাধিক গ্রাম, গোটা দশেক হাওর-নদী-বিল-খালের। পথে পথে সৌন্দর্য। মাঠ, হাওরের উন্মুক্ত প্রান্তর যেন এখন সবুজ ঘাসের গালিচা। সেখানে চরে বেড়াচ্ছে গরু-ছাগল। বক, শামুকখোল পাখিরা জলাশয়ে একসঙ্গে খুঁজছে খাবার।

বানিয়াচং উপজেলা সদর পেরিয়ে হাওরের মূল ভূখণ্ড ঢুকতেই স্বাগত জানায় পাকা একটি সড়ক। সড়ক ধরে কেউ-বা হেঁটে যাচ্ছেন, কেউ-বা যাচ্ছেন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে চেপে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, বর্ষায় এই সড়ক পানির নিচে ডুবে থাকে আর হেমন্তে ভেসে ওঠে। সড়কের বিভিন্ন অংশ ভাঙাচোরা, কোথাও আবার পিচহীন। গবাদিপশুর জন্য ঘাস কেটে কেউ-বা সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছেন, কেউ-বা সড়ক-লাগোয়া খাল-নালায় ব্যস্ত মাছ শিকারে। মাথার ওপরে চক্কর খাচ্ছে চিল, সারস, কাক, ফেসকুন্দাসহ নানা জাতের পাখি।

বানিয়াচং উপজেলার খরতির জঙ্গলে হিজল-করচবাগ

সম্পর্কিত নিবন্ধ