বরগুনার অজ্ঞাত একটি জায়গায় শেখ হাসিনার নামে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে ‘জয় বাংলা পরিষদ’ ব্যানারে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে বিএনপি।

শনিবার সন্ধ্যায় ২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বরগুনা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর তৌহিদ মোল্লা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সেই ভিডিও।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বরগুনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু জাফর, গৌরীচন্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট তানভির সিদ্দিকী, সাবেক কাউন্সিলর তৌহিদ মোল্লা, জাতীয় শ্রমিক লীগের বরগুনা জেলা শাখার আহ্বায়ক আবদুল হালিম মোল্লা, যুবলীগ নেতা রাজিব, বিকাশ সাহাসহ কয়েকজন নেতা ঈদ সামগ্রী বিতরণ করছেন। সেই ঈদ সামগ্রীতে লেখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার। ভিডিওটিতে তৌহিদ মোল্লাকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে শনিবার রাতে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে বরগুনা প্রেস ক্লাব চত্বরে সমাবেশ করে বিএনপি। সেখানে বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ বরগুনায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বরগুনাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ য বল গ বরগ ন য বল গ বরগ ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বেরোবি শিক্ষকের কুশপুত্তলিকায় জুতাপেটা

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন ও ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. তানজিউল ইসলাম জীবন এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. রশীদুল ইসলামের কুশপুত্তলিকায় জুতাপেটা করেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণচূড়া সড়কে এসব শিক্ষকদের শাস্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণচূড়া সড়কে অভিযুক্ত শিক্ষকদের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে তাতে জুতার মালা পরানো হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে- আমি নারীলোভী নিপীড়নকারী শিক্ষক। শিক্ষার্থীরা তাতে ‍জুতাপেটা করছে। 

কর্মসূচিতে বেরোবি শিক্ষার্থী রহমত আলী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও রেজাল্ট টেম্পারিংসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা এসব নিপীড়নের চর্চা বন্ধ করতে বিশেষ সেল গঠনের দাবি জানাচ্ছি।

আশিকুর রহমান বলেন, আমাদের দাবি একটাই অপকর্মের সাথে যে সকল শিক্ষক জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করতে সাহস না পায়। 

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিউল ইসলাম ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক রশিদুল ইসলামের স্ক্রিনশট, অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর যৌন হয়রানির বিষয়টি সামনে এসেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ