আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা হারালে বিএনপি তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা সরকারের পূর্ণ নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করি, বিশেষ করে অধ্যাপক ইউনূসের কাছ থেকে। যদি তিনি অনুভব করেন যে তার মন্ত্রিসভার কেউ নিরপেক্ষতা নষ্ট করছেন, তবে তাদের অপসারণ করা উচিত। তাকে (ড.

ইউনূস) সম্পূর্ণ স্বচ্ছ থাকতে হবে।’

আজ রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যদি প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেন, তাহলে জনগণের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হবে যে এ সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমাদের হতাশ করেছে। কিছু উপদেষ্টার কার্যক্রম দেখে আমরা সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে গভীর সন্দেহ প্রকাশ করছি।’

সরকারের কিছু উপদেষ্টা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্বার্থে সরকারি সম্পদ অপব্যবহার করছেন, যা নিরপেক্ষতার পরিপন্থি এবং এটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘সরকারি সম্পদ রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্প ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, যা স্পষ্টভাবে নিরপেক্ষতার নীতির লঙ্ঘন।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এখনও একটি সুস্পষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপ দেননি, যা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সহায়ক হতে পারত। একটি নির্ভরযোগ্য রোডম্যাপ থাকলে চলমান রাজনৈতিক সংকট প্রশমিত হতো এবং রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনি প্রস্তুতিতে মনোযোগী হতে পারত।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ইউন স ব এনপ ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র র জন ত ক উপদ ষ ট ফখর ল সরক র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

নেপিডোতে পৌঁছেছে বাংলাদেশের ৫৫ সদস্যের উদ্ধার ও চিকিৎসা দল

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ৫৫ সদস্যের একটি উদ্ধার ও চিকিৎসা দল দেশটির রাজধানী নেপিডোতে পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ২টায় নেপিডোতে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দলটি।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুটি সি ১৩০ জে এবং একটি সিএএসএসি ২৯৫ ডাব্লু ফ্লাইটে মোট ১৫ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বিমান তিনটি নেপিডো বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। যার মধ্যে রয়েছে ৪ দশমিক ২ মেট্রিক টন ওষুধ ও চিকিৎসা পণ্য, তাঁবু এবং শুকনো খাবার।

মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম মনোয়ার হোসেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ চ তুনের কাছে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করেন। দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আফতাব হোসেন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৩০ মার্চ বাংলাদেশ দুটি ফ্লাইটে ১৬ দশমিক ৫ মেট্রিক টন ত্রাণের প্রথম চালান পাঠিয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ