ঈদের আগেই কেন যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন ফারিণ
Published: 30th, March 2025 GMT
ছোটপর্দার অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। আগের ঈদে একাধিক নাটক-ওয়েব কন্টেন্ট মুক্তি পেলেও এবারের ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তাঁর একটি ওয়েব ফিল্ম। কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘হাউ সুইট’- এ তাঁর সহশিল্পী অপূর্ব।
গত সপ্তাহে ‘হাউ সুইট’-এর প্রিমিয়ার করে সম্প্রতি স্বামী শেখ রেজওয়ানের কাছে যুক্তরাজ্যে উড়াল দিয়েছেন তাসনিয়া ফারিণ।
তাসনিয়া ফারিণ গণমাধ্যমকে জানান, যুক্তরজ্যের বার্মিংহামে থাকেন তাঁর স্বামী শেখ রেজওয়ান। দেশটিতে আছেন তাঁর মামা–মামির পরিবারও। স্বামীর জন্য তেমনি শেখ রেজওয়ানের মা–বাবা এবং শ্বশুর–শাশুড়ির দেওয়া জিনিসপত্রও নিয়ে গেছেন তিনি।
বিয়ের আগের ঈদ আর এখনকার ঈদের মধ্যে কোনো পার্থক্যের বিষয়ে ফারিণ বলেন, ‘পার্থক্য বলতে আমি তো এখন লন্ডনে। সে হিসেবে বলতে পারি, এটা তো অবশ্যই ভিন্ন রকম। আমার পরিবার ঢাকায়, তাঁদের সঙ্গে ঈদ করা হচ্ছে না। এখানে আমার মামা-মামি আছেন, তাঁদের এখানেই আছি। ঈদ তাঁদের সঙ্গে হবে। এরপর স্বামীর সঙ্গে তাঁর বাসায় যাব।’
মাসখানেক যুক্তরাজ্যে থাকার পর বাংলাদেশে ফিরবেন তাসনিয়া ফারিণ। ফিরে এসেই নতুন কাজ শুরু করবেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের দিন রান্না করতে গিয়ে নতুন শাড়িতে আগুন, দগ্ধ গৃহবধূর হাসপাতালে মৃত্যু
ঈদের দিন সকালে নতুন শাড়ি পরে পরিবারের জন্য রান্না করছিলেন গৃহবধূ ঊর্মি আক্তার (২৫)। হঠাৎ চুলা থেকে আগুন লেগে যায় শাড়িতে। গুরুতর দগ্ধ গৃহবধূ রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারার হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হন গৃহবধূ ঊর্মি আক্তার। গতকাল রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ঊর্মি আক্তার উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকায় মো. নঈম উদ্দিনের স্ত্রী।
ঊর্মি আক্তারের পরিবারের সদস্যরা জানান, ঈদের দিন বেলা ১১টার দিকে রান্নাঘরে লাকড়ির চুলায় রান্না করছিলেন ঊর্মি। ওই সময় চুলা থেকে শাড়িতে আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি রান্নাঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার শুরু করলে বাড়ির লোকজন এসে আগুন নেভান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
গৃহবধূর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালে ঊর্মি আক্তারের বিয়ে হয় উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকায় মো. নঈম উদ্দিনের সঙ্গে। তাঁদের সংসারে কোনো সন্তান হয়নি।
ঊর্মি আকারের মামা মোহাম্মদ ফরহাদুন্নবী বলেন, ‘সোমবার ঈদের দিন নতুন শাড়ি পরে রান্না করার সময় আগুন লেগে আমার ভাগনির মৃত্যু হয়। আগুন নেভাতে গিয়ে তার স্বামী ও চাচাতো দেবরও অগ্নিদগ্ধ হন।’
আনোয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, ঈদের দিন রান্নাঘরে চুলার আগুনে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।