নড়াইলের লোহাগড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নড়াইল জেলা বাস-মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে (৫০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার বিকেলে লোহাগড়া পৌর এলাকার লক্ষ্মীপাশা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় গোপিনাথপুর এলাকার তাহের শেখের ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী ইদ্রিস মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

নিহত মামুন উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের মহিষাপাড়া গ্রামের ওলিয়ার ফকিরের ছেলে। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেল ৫টার দিকে জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন লোহাগাড়ার লক্ষ্মীপাশা কাঁচা বাজারে আলু কিনতে ইদ্রিস মিয়ার দোকানে যান। সেখানে আলুর দাম নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মামুনের মাথায় গামলা দিয়ে আঘাত করেন ইদ্রিস মিয়া। এতে তিনি মাটিতে পড়েন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি মো.

আশিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত কাঁচামাল ব্যবসায়ী ইদ্রিস মিয়াকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ট য় হত য

এছাড়াও পড়ুন:

মতিঝিলে বাসের ধাক্কায় নিরাপত্তাকর্মী নিহত

রাজধানীর মতিঝিলে রাস্তা পারাপারের সময় বাসের ধাক্কায় রুহুল আমিন শেখ (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রুহুল আমিন বাসাবো স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন। তাঁর বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নান্দাসাগর গ্রামে। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর সবুজবাগের পূর্ব বাসাবো এলাকায় থাকতেন।

নিহতের ছেলে মো. শাকিল বলেন, বাসায় ফেরার পথে মতিঝিলের বিআরটিসি কাউন্টারের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় ৬ নম্বর বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন বাবা। খবর পেয়ে দ্রুত তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ