জার্মানিতে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত
Published: 30th, March 2025 GMT
ইউরোপের অন্য দেশগুলোর মতো জার্মানিতে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হচ্ছে। আবহাওয়া ততটা ভালো না থাকলেও কোথাও কোথাও উন্মুক্ত মাঠে বা পার্কে ঈদের জামাত হয়েছে। জার্মানপ্রবাসী বাংলাদেশিরা বিভিন্ন শহরে ঈদ উৎসবের আয়োজন করেছেন।
রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বিভিন্ন জামাতে মানুষের ঢল নামে। জার্মানিতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত শহর হিসেবে পরিচিত ফ্রাঙ্কফুর্ট ও অফেনবাগ। সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে সব থেকে বড় ঈদুল ফিতরের জামাতটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট রেলস্টেশনের কাছে মোসেল সড়কের একটি মিলনায়তনে। সেখানে তিন শতাধিক মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নেন।
হ্যানোভারে ঈদের জামাতের পর প্রবাসী বাংলাদেশিরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মে দিবসে মঞ্চে ‘মার্ক্স ইন সোহো’
আগামী ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস এবং ৫মে কার্ল মার্ক্স এর ২০৮তম জয়ন্তী উদযাপনকল্পে নাট্য সংগঠন বটতলা এবং যাত্রিক-এর যৌথ প্রযোজনা ‘মার্ক্স ইন সোহো’ নিয়ে আবার মঞ্চে আসছে। টানা তিন দিন তিনটি প্রদর্শনী থাকছে এই আয়োজনে।
প্রখ্যাত আমেরিকান ইতিহাসবিদ ও তাত্ত্বিক হাওয়ার্ড জিন রচিত, জাভেদ হুসেন অনুদিত এবং নায়লা আজাদ নির্দেশিত এই নাটকটি প্রথম মঞ্চে আসে ২০২১ সালের অক্টোবরে।
মৃত্যুর প্রায় ১০০ বছর পরে কার্ল মার্ক্স কি সত্যি সোহোতে বা পৃথিবীতে ফিরেছেন? ফেরার প্রয়োজনীয়তাও কি আছে? এই যে পৃথিবীতে বাস করছি আমরা যেখানে নানা বৈষম্য বিদ্যমান, শ্রমিক তাঁর ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত, তাঁর জীবন যেখানে মূল্যহীন, যেখানে মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতা এবং ভেতরে ভেতরে চিৎকার- রাষ্ট্রযন্ত্র দ্বারা হঠাৎ হঠাৎ বাইরে বেরিয়ে আসা দু-একটি চিৎকারেরও টুটি চেপে ধরা- এমন অস্থির সময়ে মানুষের মুক্তি কোথায়? গোটা বিশ্ব যেখানে পুঁজিবাদের দাস, সেখানে কার্ল মার্ক্স কি ফিরছেন এসব থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে নাকি তাঁর নামে চালু বদনামগুলো পরিস্কার করতে? এসবই জানা যাবে নাটকের নানা স্তরে, বোঝা যাবে শুধু একজন দার্শনিক নন, এক ব্যক্তি কার্ল মার্ক্সকেও।
দুনিয়ার অন্যতম জরুরি দার্শনিক কার্ল মার্ক্স, যিনি উনবিংশ শতাব্দী থেকে আজও মানুষের সমাজের ইতিহাস ও রাজনীতিকে নানাভাবে প্রভাবিত করে চলেছেন তাকে নিয়ে নাটক মার্ক্স ইন সোহো বা সোহোতে মার্ক্স! হাওয়ার্ড জিন তাঁর সোহোতে মার্ক্স নাটকে দুনিয়া কাঁপানো চিন্তক মানুষটির দৈনন্দিন প্রেম বা খেদের ভেতর দিয়ে সত্যিকারের একজন মানবিক স্বাপ্নিক দ্রষ্টার ছবি এঁকেছেন। এর পেছনে জিনের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু মার্ক্স নন, বরং মার্ক্সের চিন্তা বা বিশ্লেষণ। দেড়শো বছর পেরিয়ে এসেও কী অসামান্য প্রাসঙ্গিক এবং জরুরি সেসব চিন্তা সেটা দেখানোই জিনের উদ্দেশ্য। নাটকটি নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বটতলার সাথে যুক্ত হয় যাত্রিক।
বটতলা এবং যাত্রিক-এর এই যৌথতা জিনের দেখা মানবিক মার্ক্সকে এবং তাঁর অসামান্য বিস্ফোরক বিপ্লবী চিন্তাকে আরও বেশি দর্শকের কাছে নিয়ে যাবে এটুকুই প্রত্যাশা।