ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
Published: 30th, March 2025 GMT
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং কর্তৃক শেয়ার করা এক ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সকলকে আনন্দময় ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। আশা করি ঈদের সময়, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আপনাদের বাড়িতে যেতে পারবেন এবং আপনাদের পরিবারের সঙ্গে আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করবেন।’
তিনি দেশের জনগণকে তাদের আত্মীয় স্বজনের কবর জিয়ারত করা, দরিদ্র পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া এবং তাদের ভবিষ্যৎ কীভাবে উন্নত করা যায় সে সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করার আহ্বান জানান। খবর বাসসের
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আপনার সন্তানদের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন- এটাই আমার ইচ্ছা।
এছাড়াও, তিনি ঈদের নামাজের সময় যেকোনো মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, পরাজিত শক্তির সব উস্কানির মুখে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় থাকার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস প্রার্থনা করেন যে, সকলের জীবন অর্থপূর্ণ ও আনন্দে ভরে উঠবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে সাহায্য করবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
কলকাতায় ঈদের দিন স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে মিছিল
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় ঈদুল ফিতরের দিন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে মিছিল হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে রাজ্যটির বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের নামাজে সামিল হন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। তার আগেই এই মিছিল হয়।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঈদের সবচেয়ে বড় নামাজটি হয় কলকাতার রেড রোডে। নামাজ পড়ান ইমাম কাজি ফজলুর রহমান। প্রায় লাখো মুসল্লি এই নামাজে অংশ নিয়েছিলেন।
আরো পড়ুন:
হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
গাজার কিছু এলাকা দখল করতে পারে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
কলকাতার নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, পার্ক সার্কাস, ময়দান, খিদিরপুরসহ রাজ্যের অসংখ্য মসজিদে নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষেই একে অপরকে আলিঙ্গন করেন, কুশল বিনিময় করেন মুসল্লিরা।
এদিন ঈদের নামাজ শুরু হওয়ার আগেই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে কলকাতায় বিশাল সংহতি মিছিল হয়। হাতে ব্যানার নিয়ে স্লোগান তুলে বিশাল মিছিল কলকাতার রেড রোডে প্রবেশ করে। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের দেখা যায় মিছিলে।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী শেখ আমির নামে এক মুসুল্লি বলেন, “আজকে আমাদের খুশির দিন, আনন্দের দিন। কিন্তু ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনেদের সঙ্গে যে অন্যায় হচ্ছে, তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ওরাও যাতে শান্তিতে থাকতে পারে, আমরা যেভাবে পরিবারের সাথে ঘরে ঈদ করছি, ঠিক সেভাবে ওরাও যেন পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ পালন করতে পারে।
“আমি যেমন আমার বাচ্চাকে সাথে নিয়ে নামাজ পড়তে এসেছি, ঠিক ওরাও যেন এ রকম করতে পারে। কিন্তু ওদের সাথে প্রচণ্ড অত্যাচার এবং জুলুম হচ্ছে। নিরপরাধ বাচ্চাদের হত্যা করা হচ্ছে। এটা কি অপরাধ নয়? ইসরায়েলের উচিত ওই বাচ্চাদের সাথে মানবিক আচরণ করা। ইসরায়েলের আক্রমণে যেসব বাচ্চারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি,” বলেন শেখ আমির।
রেড রোডের ঈদের নামাজে অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মমতার ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাসহ আরো অনেক নেতাকর্মী।
মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সমস্ত মসজিদ, ঈদগাহ রঙিন আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে। আগামী কয়েক দিন মুসলিম মহল্লাগুলোতে ঈদ উপলক্ষে চলবে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি খুশির ঈদ উদযাপন হচ্ছে দিল্লি, লখনৌ, হায়দরাবাদ, মুম্বাই, জম্মু-কাশ্মীর, ভোপাল, পাটনাসহ ভারতের প্রতিটি শহরে। দিল্লির জামা মসজিদে এদিন হাজার হাজার মানুষ ঈদের নামাজে অংশ নেয়।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল নাগপুর, মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে। নাশকতা এড়াতে দিল্লিসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শহরেই ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি।
ঢাকা/রাসেল