মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই বিশেষ দিনে ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সৌদি ঐতিহ্যবাহী পোশাকে এক ছবি পোস্ট করেছেন রোনালদো। ছবিতে দেখা গেছে, তার হাতে আরবের ঐতিহ্যবাহী তলোয়ার এবং কাঁধে সৌদি পতাকার মতো একটি কাপড়।

ছবির ক্যাপশনে রোনালদো লেখেন, ‘সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা! আনন্দ, শান্তি ও ভালোবাসায় ভরে উঠুক আপনাদের জীবন। প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটুক এক আনন্দমুখর ঈদ। ঈদ মোবারক!’

সম্প্রতি উয়েফা নেশন্স লিগে পর্তুগালের হয়ে খেলেছেন রোনালদো। তার নেতৃত্বে দলটি সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়। আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে তিনি ফিরে গেছেন সৌদি ক্লাব আল-নাসরে এবং আগামী ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসন থানার মোগরখাল এলাকার একটি বাসায় এ দুর্ঘঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। 

দগ্ধরা হলেন, পারভীন আক্তার (৩৫ বছর), তাসলিমা (৩০) বয়সী, সীমা (৩০), তানজিলা (১০) ও দেড় বছরের আইয়ান। 

আরো পড়ুন:

ছেলের পর নাতীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় রাবেয়া বেগম

নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু

তাদের আত্মীয় মফিজুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে  রান্না করার জন্য চুলা জ্বালালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। 

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ শাওন বিন রহমান জানান, গাজীপুরের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচ জনকে দগ্ধদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগুনে সীমার শরীরের ৯০ শতাংশ, পারভীনের ৩২ শতাংশ, তানজিলার ৯০ শতাংশ, তাসলিমার ৯৫ শতাংশ ও আয়ানের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের আগুনে প্রায়ই দগ্ধ হচ্ছে মানুষ। তাদের অনেকে চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসছেন। কিন্তু সবাইকে বাঁচানো যাচ্ছে না বলে জানান চিকিৎসকরা। 

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিসাবে, শুধু ২০২৪ সালে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১২ হাজার ৮১১ জন রোগী জরুরি বিভাগে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৬৮০ জন রোগী। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মারা যান ১০০২ জন। অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ