ঢালিউড কিং শাকিব খানের আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’। ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে প্রতীক্ষিত এই সিনেমা। গত ২৮ মার্চ মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটির আইটেম গান ‘চাঁদ মামা’। এ গানে শাকিবের সঙ্গে কোমর দুলিয়ে নজর কেড়েছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।

এবারের ঈদটা নুসরাত জাহানের কাছে ভীষণ স্পেশাল বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। বেশ কিছু কারণে স্পেশাল বলে তার ব্যাখ্যাও করেছেন।   

নুসরাত জাহান বলেন, “এ বছরের ঈদ আমার ভীষণ স্পেশাল। প্রথমত, আমাদের সিনেমা ‘আড়ি’ আসছে। দ্বিতীয়ত, আমার আর শাকিব খানের যে গানটি মুক্তি পেয়েছে, তার রেসপন্স খুব ভালো। তৃতীয়ত, আমার প্রথম হিন্দি ‘সিঙ্গেল’ মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে এই ঈদে একঝাঁক চমক।”

আরো পড়ুন:

প্রবাসীদের শাকিবের ঈদের শুভেচ্ছা

প্রকাশ্যে ‘চাঁদ মামা’, নেটিজেনরা বলছেন ‘আগুন’

ঈদের দিনের পরিকল্পনা জানিয়ে নুসরাত জাহান বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারো সকালে মেয়েদের সঙ্গে ঈদের নমাজ পড়ব। তারপর পরিবারের সঙ্গে সারাদিন থাকব। ঈদের দিন কোনো কাজ রাখি না। এই বছরের ঈদ আরো বেশি স্পেশাল। কারণ আমার বোন এসেছে। ও বিদেশে পড়াশোনা করেছে। এখন ওখানেই চাকরি করে। খুব সুন্দর একটা সময় কাটাব বলে মুখিয়ে রয়েছি।”

নায়ক যশের সঙ্গে সংসার বেঁধেছেন ননুসরাত জাহান। এ সংসারে তাদের ঈশান নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। এ বিষয়ে নুসরাত বলেন, “এই আনন্দ বোঝার জন্য ঈশান এখন অনেকটা ছোট। তবে ও দুর্গাপূজায় যতটা এক্সাইটেড থাকে, ক্রিসমাসেও তাই। আবার ঈদেও তার অন্যথা নয়। ঈশানকে শিখিয়েছি, ঈদের দিন সবাইকে ঈদ মোবারক বলতে হয়। ঠিক অন্যান্য উৎসবেও একইভাবে বোঝাই। আমি চাই সবরকম ধর্মের সঙ্গে ওর পরিচয় হোক।”

শাকিব-নুসরাতের ‘চাঁদ মামা’ গান রচনা, সুর, সংগীতায়োজন করেছেন প্রীতম হাসান, কণ্ঠ দিয়েছেন প্রীতম ও দোলা।

‘বরবাদ’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার ইধিকা পাল। দ্বিতীয়বারের মতো জুটি বেঁধে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন এই যুগল। তা ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— যীশু সেনগুপ্ত, মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু প্রমুখ। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন শাহরিন আক্তার সুমি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মতিঝিলে বাসের ধাক্কায় নিরাপত্তাকর্মী নিহত

রাজধানীর মতিঝিলে রাস্তা পারাপারের সময় বাসের ধাক্কায় রুহুল আমিন শেখ (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রুহুল আমিন বাসাবো স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন। তাঁর বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নান্দাসাগর গ্রামে। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর সবুজবাগের পূর্ব বাসাবো এলাকায় থাকতেন।

নিহতের ছেলে মো. শাকিল বলেন, বাসায় ফেরার পথে মতিঝিলের বিআরটিসি কাউন্টারের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় ৬ নম্বর বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন বাবা। খবর পেয়ে দ্রুত তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ