নতুন চাঁদকে আরবিতে বলে ‘হিলাল’। ‘হিলাল’ হচ্ছে এক থেকে তিন তারিখের চাঁদ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে রোজা ছাড়ো, ইফতার করো বা ঈদ করো।’ যে সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ দেখা যায়, সে রাত হলো ‘চাঁদরাত’। আরবি চান্দ্র বছরের নবম মাস রমজান এবং দশম মাস শাওয়াল।
রমজানের রোজার শেষে পয়লা শাওয়াল ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদ। শাওয়ালের চাঁদরাত হলো ঈদের রাত। ইসলামে যে রাতগুলো ইবাদতের জন্য এবং ফজিলতে পরিপূর্ণ, সেসবের অন্যতম এই ঈদের রাত। চাঁদরাতের প্রথম সুন্নত ও ফরজে কিফায়া আমল হলো সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে চাঁদ দেখা। চাঁদ দেখলে বা চাঁদ দেখার সংবাদ নিশ্চিত হলে দোয়া পড়া সুন্নত (তিরমিজি ৩৪৫১)
রমজানের ঈদের রাতে পুরুষদের মাগরিব, এশা ও ফজর নামাজ মসজিদে জামাতের সঙ্গে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। নারীরাও ফরজ নামাজ আদায় করবেন। রাতের ইবাদতের জন্য বিশেষভাবে পবিত্রতা অর্জন করা হয়। ইবাদতের উপযোগী ভালো কাপড় পরতে হবে। মাগরিবের পর আউওয়াবিন নামাজ পড়া এবং শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার চেস্টা করতে হবে। রাত জেগে নফল ইবাদত করা। নফল নামাজ পড়া। তাহ্যিয়াতুল অজু, দুখুলুল মসজিদ, তওবার নামাজ, সলাতুল হাজাত, সলাতুত তসবিহ, সলাতুস শোকর ইত্যাদি পড়া। কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করা, সুরা ইয়াসিন, সুরা রহমান, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক, সুরা মুজাম্মিল, সুরা মুদ্দাচ্ছির, সুরা ফাতহ, সুরা নাবা ইত্যাদি পাঠ করা। দরুদ শরিফ পাঠ করা, ইস্তিগফার করা, জিকির করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম২১ এপ্রিল ২০২৩রাসুলুল্লাহ (সা.
ঈদের নামাজ পড়া পুরুষদের জন্য ওয়াজিব। ঈদের নামাজের সময় হলো সূর্যোদয়ের পর থেকে মধ্য দিবসের আগ পর্যন্ত। ঈদের নামাজের আগে পরে কোনো নফল নামাজ পড়া যায় না। ঈদের নামাজের জন্য আজান ও একামত দিতে হয় না।
দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ ছয়টি অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরসহ আদায় করতে হয়। প্রথম রাকাতে সানা পড়ার পর সুরা পড়ার পূর্বে তিনটি তকবির এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কিরাত পড়ার পর রুকুতে যাওয়ার আগে তিনটি তকবির বলতে হয়। প্রতিটি তকবির বলার সময় কান পর্যন্ত উভয় হাত তুলে হাত ছেড়ে দিতে হয়। ঈদের নামাজের পর খুতবা দেওয়া হয়। খুতবা মানে ভাষণ বা বক্তৃতা। ঈদের খুতবা দেওয়া বা শোনা দুটোই ওয়াজিব। সব রকমের খুতবার সময় শ্রোতাদের নীরবতা ওয়াজিব ।
আরও পড়ুনঈদ যেভাবে এল১১ এপ্রিল ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঈদ র ন ম জ র র জন য রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউরোপের শক্তিশালী পরিকল্পনা রয়েছে
ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় ‘প্রয়োজনে’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে ইউরোপের ‘একটি শক্তিশালী পরিকল্পনা’ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে, ট্রাম্প ২এপ্রিলকে আমেরিকার ‘মুক্তি দিবস’ হিসেবে প্রচার করে আসছেন। ওই দিন তার প্রশাসনের উগ্র অর্থনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বেশ কয়েকটি বড় ধরনের শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়া হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং গাড়ি আমদানির উপর আগ্রাসী মাত্রায় শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে।
উরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী প্রধান উরসুলা ভন ডের লেইন বলেছেন, “ইউরোপ এই সংঘাত শুরু করেনি। আমরা অবশ্যই প্রতিশোধ নিতে চাই না, তবে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমাদের একটি শক্তিশালী পরিকল্পনা আছে এবং আমরা তা ব্যবহার করব।”
সোমবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছিলেন, ট্রাম্প বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তার শুল্ক পরিকল্পনা প্রকাশ করবেন। তিনি কী ঘোষণা করবেন সে সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি ভন ডের লেইন জানিয়েছেন, ইউরোপ ‘আলোচনার জন্য উন্মুক্ত।’
তিনি বলেছেন, “আমরা এই আলোচনাগুলোকে শক্তিশালী অবস্থান থেকে এগিয়ে নেব। ইউরোপের কাছে বাণিজ্য থেকে শুরু করে প্রযুক্তি, আমাদের বাজারের আকার পর্যন্ত অনেক তাস রয়েছে। কিন্তু এই শক্তি আমাদের প্রস্তুতির উপরও নির্ভর করছে। সব উপকরণ টেবিলে রয়েছে।”
ইইউ কীভাবে প্রতিশোধ নিতে পারে সে সম্পর্কে ভন ডের লেইন অবশ্য বিস্তারিত জানাননি, তবে গত মাসে ব্লকটির আলোচনায় ট্রাম্পের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ২৬ বিলিয়ন ইউরো (২৮ বিলিয়ন ডলার) মূল্যের আমেরিকান পণ্যের উপর পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। এসব পণ্যের মধ্যে মধ্যে নৌকা, বোর্বন এবং মোটরবাইক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ