জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা
Published: 30th, March 2025 GMT
জাতির উদ্দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে দেয়া শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি জাতির মঙ্গল কামনা করে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।
শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমি বাংলাদেশের সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। ঈদ আমাদের মাঝে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব এবং সহমর্মিতার এক অভূতপূর্ব বন্ধন তৈরি করে।
আসুন, আমরা এই আনন্দঘন মুহূর্তে দেশের উন্নতি ও কল্যাণে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকারবদ্ধ হই। ঈদ আমাদের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করুক, যাতে আমরা সবাই একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, এ ঈদ আমাদের মাঝে আরও গভীর ভালোবাসা ও সহযোগিতার সূচনা ঘটাবে। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। আসুন আমরা একসাথে একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ, উন্নত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
ঈদের জামাতে সবাই যেন দলমত নির্বিশেষে পরাজিত শক্তির সকল প্ররোচনা সত্ত্বেও সুদৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারেন সে জন্য আল্লাহর কাছে মোনাজাত করবেন এই আহ্বান জানাচ্ছি।
মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
ঢাকা/হাসান//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের দিন রান্না করতে গিয়ে নতুন শাড়িতে আগুন, দগ্ধ গৃহবধূর হাসপাতালে মৃত্যু
ঈদের দিন সকালে নতুন শাড়ি পরে পরিবারের জন্য রান্না করছিলেন গৃহবধূ ঊর্মি আক্তার (২৫)। হঠাৎ চুলা থেকে আগুন লেগে যায় শাড়িতে। গুরুতর দগ্ধ গৃহবধূ রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারার হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হন গৃহবধূ ঊর্মি আক্তার। গতকাল রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ঊর্মি আক্তার উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকায় মো. নঈম উদ্দিনের স্ত্রী।
ঊর্মি আক্তারের পরিবারের সদস্যরা জানান, ঈদের দিন বেলা ১১টার দিকে রান্নাঘরে লাকড়ির চুলায় রান্না করছিলেন ঊর্মি। ওই সময় চুলা থেকে শাড়িতে আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি রান্নাঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার শুরু করলে বাড়ির লোকজন এসে আগুন নেভান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
গৃহবধূর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালে ঊর্মি আক্তারের বিয়ে হয় উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকায় মো. নঈম উদ্দিনের সঙ্গে। তাঁদের সংসারে কোনো সন্তান হয়নি।
ঊর্মি আকারের মামা মোহাম্মদ ফরহাদুন্নবী বলেন, ‘সোমবার ঈদের দিন নতুন শাড়ি পরে রান্না করার সময় আগুন লেগে আমার ভাগনির মৃত্যু হয়। আগুন নেভাতে গিয়ে তার স্বামী ও চাচাতো দেবরও অগ্নিদগ্ধ হন।’
আনোয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, ঈদের দিন রান্নাঘরে চুলার আগুনে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।