‘ঈদের চাঁদ আকাশে, সালামি দিন বিকাশ-এ’
Published: 30th, March 2025 GMT
নিজের ফেসবুক ওয়ালে বড় ভাই-আপাদের ট্যাগ করে ‘আপনার জুনিয়রকে ঈদ সালামি দিন বিকাশ-এ’ এমন একটা ছবি দিয়ে আহমেদ রবিন লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। দ্যাখেন যেটা ভালো মনে করেন।’ রবিনের মতো এমন অনেকেই তাঁদের বস থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব, কাছের মানুষকে ট্যাগ করে সালামি চাইছেন বিকাশে। আবার কেউ কেউ নিজেদের কিউআর কোডও ঝুলিয়ে রাখছেন প্রোফাইলে। এভাবেই ঈদ আনন্দকে আরও বর্ণিল করে তুলেছে ডিজিটাল সালামি। ক্যাশ থেকে ডিজিটাল সালামির এ রূপান্তরকে প্রাণোচ্ছল করেছে বিকাশ।
ঈদে সালামির প্রচলন বহু পুরোনো। মুসলিম দেশগুলোয়, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও ইরানে বহু আগ থেকেই ঈদ উদ্যাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে আছে সালামি। সালামি বা ঈদি নামে পরিচিত এ প্রথায় বড়দের কাছ থেকে ছোটদের ‘বকশিশ’ পাওয়া ঈদের খুশিকে বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে। চিরাচরিত সেই প্রথায় প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের কল্যাণে।
ঈদের আমেজকে সামনে রেখে বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হয়েছে অনেকগুলো বর্ণিল ঈদকার্ড, যা বিকাশে ডিজিটাল সালামিকে করে তুলেছে আরও আকর্ষণীয়। শুভেচ্ছাবার্তাসহ রঙিন এই কার্ডগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার সুবিধা ঈদে যোগ করছে বাড়তি মাত্রা।
পাশাপাশি ‘ঈদের চাঁদ আকাশে, সালামি দিন বিকাশ-এ’, ‘সালাম লাগবে সালাম নিন, সালামিটা বিকাশ-এ দিন’, ‘বিকাশ–এ সালামি দিয়ে কেউ দেউলিয়া হয় না’, ‘চৌধুরী সাহেব গরিব হতে পারি কিন্তু সালামি নিই বিকাশ-এ’, ‘বিকাশ-এ সালামি না দিলে বন্ধু কথা কয়ো না’। এমন অসংখ্য ডিজিটাল স্টিকারে পুরোনো দিনের স্টিকার কার্ডের আমেজ ফিরিয়ে এনেছে ডিজিটাল সালামি।
ঈদের আগেই সবার কাছ থেকে বিকাশে সালামি পাঠানোর রিকোয়েস্ট ঈদের আমেজ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে বিশ্বাস করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ফাহাম। তাঁর ভাষায়, ‘সবার সঙ্গে তো এখন আর ঈদ করা হয়ে ওঠে না। গত কয়েক বছরের মতো এবারও তাই সবাইকে মজার মেসেজসহ সালামি পাঠিয়ে দেব বিকাশে। এখন তো আরও সহজ, বিভিন্ন গ্রুপ করে রেখেছি যাতে একসঙ্গে কয়েকজনকে পাঠিয়ে দিতে পারি।’
গ্রুপ সেন্ড মানি যেভাবে
যাঁরা একসঙ্গে অনেককে সালামি পাঠাবেন, তাঁরা খুব সহজে বিকাশের গ্রুপ সেন্ড মানি ফিচার ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য শুরুতেই বিকাশ অ্যাপের সেন্ড মানি আইকনে ক্লিক করে গ্রুপ সেন্ড মানি অপশন ট্যাপ করে সর্বোচ্চ সাতটি নম্বর অ্যাড করে সালামি পাঠানোর গ্রুপ তৈরি করে নিতে পারেন। এরপর মোট সেন্ড মানির পরিমাণ দিয়ে চাইলে প্রতি নম্বরে সমানভাগে অথবা একেক নম্বরে একেক পরিমাণ সালামি পাঠাতে পারবেন। একজন গ্রাহক একাধিক গ্রুপ তৈরি করে সালামি পাঠাতে পারবেন।
এদিকে ছোট ভাইবোনকে সঙ্গে নিয়ে প্রিয়জনদের কাছ থেকে সালামি আদায়ের একটি লিস্ট করে তৈরি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওরিন। এই তরুণী বলেন, ‘চাচা-মামা-ফুফু-খালা, কাজিনদের অনেকেই বাস করেন অন্যান্য জেলায়। ঈদের সময় তাঁদের অনেকের সঙ্গেই দেখা হওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না, তাই বলে তো আর সালামি মিস করা যায় না। এ কারণে ঈদের আগেই কল করে, মেসেজ দিয়ে, বিকাশ অ্যাপ থেকে রিকোয়েস্ট মানি করে তাঁদের বিকাশে সালামি পাঠিয়ে দেওয়ার আবদার জানাচ্ছি!’
সালামি চেয়ে রিকোয়েস্ট মানি
সালামিশিকারিদের জন্য এক মোক্ষম অস্ত্র বিকাশ অ্যাপের রিকোয়েস্ট মানি ফিচার। অ্যাপ থেকে ‘রিকোয়েস্ট মানি’ আইকনে ট্যাপ করে সর্বোচ্চ ১০টি বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বরে পৃথকভাবে বা গ্রুপ তৈরি করে প্রিয়জনের কাছে সালামির রিকোয়েস্ট পৌঁছে দেওয়া যাবে। রিকোয়েস্ট গ্রহণকারী রিকোয়েস্ট মানির নোটিফিকেশন অথবা বিকাশ অ্যাপের রিকোয়েস্ট মানির ড্যাশবোর্ড থেকে আপনার রিকোয়েস্টটিতে সম্মতি দিয়ে সালামি পাঠিয়ে দিতে পারবেন।
যেভাবে সালামি পাঠানো যায় বিকাশ অ্যাপ থেকে
সালামি পাঠাতে বিকাশ অ্যাপের সেন্ড মানি আইকনে ক্লিক করে যে নম্বরে সালামি পাঠাতে চান, সে নম্বর সিলেক্ট করে টাকার অঙ্ক বসাতে হবে। এরপর নিচের দিকে থাকা গিফট কার্ড সেকশন থেকে ‘ঈদ মোবারক’ লেখা অংশে প্রেস করলে ঈদকার্ডের লিস্ট চলে আসবে। সেখান থেকে পছেন্দের কার্ডটি সিলেক্ট নিচের দিকে ‘ভিউ মেসেজ’-এ ট্যাপ করে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মেসেজ যোগ করে দেওয়া যাবে। সবশেষে ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’-এ ক্লিক করে পরের ধাপে বিকাশ পিন দিলেই সালামি চলে যাবে প্রিয়জনের কাছে।
এদিকে সেন্ড মানির মাধ্যমে অনেককে সালামি পাঠানোর খরচ কমাতে গ্রাহকেরা বিকাশ অ্যাপের ‘আমার বিকাশ’ সেকশন থেকে পছন্দের সেন্ড মানি বান্ডেল কিনে নিতে পারেন। বর্তমানে গ্রাহকরা ৫, ১০, ২৫, ৫০, ও ১০০টি সেন্ড মানি বান্ডেল কিনতে পারবেন। প্রতিটি বান্ডেলের মেয়াদ থাকছে ৩০ দিন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনে যৌন হয়রানির ঘটনার বিবরণ দিলেন অভিনেত্রী
বলিউড, মারাঠি এবং তামিল ছবির পাশাপাশি ওয়েব সিরিজেও নিজের অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন অভিনেত্রী অদিতি পোহনকার। ‘লাই ভারি’ ছবিতে রিতেশ দেশমুখের বিপরীতে কাজ করার পর দর্শকের নজরে আসেন তিনি। এরপর ‘শি’ এবং ‘আশ্রম’ ওয়েব সিরিজে তার চরিত্র তাকে নিয়ে যায় নতুন উচ্চতায়।
সম্প্রতি বলিউড বাবলকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন অদিতি। সাক্ষাৎকারে মুম্বাই লোকাল ট্রেনের যৌন হয়রানির এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি।
অদিতি বলেন, ‘যদি কেউ সত্যিকারের জীবনের অভিজ্ঞতা নিতে চায়, তাহলে তাকে মুম্বাই লোকালে তুলে দিন। অভিজ্ঞতা ছাড়া তিনি ফিরে আসবেন কিনা, তার কোনো গ্যারান্টি নেই!’
তিনি জানান, ট্রেনে সফর করার সময় এক কিশোর তাঁকে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি করে। বিষয়টি একা সামলাননি তিনি—সরাসরি পুলিশ ডেকে অভিযুক্তকে ধরে মারধরও করেন। অদিতির কথায়, ‘সে এতটাই নির্লজ্জ ছিল যে পুলিশের সামনেও নিজের কাজ থামায়নি, ভুল স্বীকারও করেনি।’
তিনি জানান, সেই ছেলেটির বয়স ছিল মাত্র ১৩ বা ১৪ বছর, সম্ভবত সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তবুও অদিতির সাহসিকতা দেখে অনেকেই বিস্মিত। তিনি বলেন, ‘ভয় পেও না, সাহস নিয়ে মোকাবিলা করো। সোজাসাপ্টা কথা বলো।’
তিনি বলেন, একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি একবার ফার্স্ট ক্লাস মহিলা কামরায় যাত্রা করছিলেন। ওই কামরায় ১৮ বছরের কমবয়সী স্কুল ড্রেস পরা ছেলেদেরও ওঠার অনুমতি ছিল। ট্রেনটি যখন দদার স্টেশন থেকে ছাড়ে, তখন তাঁর পাশে দাঁড়ানো এক স্কুলপড়ুয়া ছেলেটি হঠাৎ করেই তাঁর বুকে হাত দেয়। এ ঘটনার পর আমি সম্পূর্ণভাবে হতবাক হয়ে যাই।’
তিনি বলেন, পরের স্টেশনে নেমে বিষয়টি পুলিশকে জানাই। আশ্চর্যের বিষয়, ছেলেটি তখনও সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল এবং আরেকজন মেয়ের সঙ্গেও একই কাজ করার চেষ্টা করছিল।
পুলিশ তখন মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করে, ‘তোমার কাছে কী প্রমাণ আছে?” উত্তরে সে জানায়, “আমি বলছি, ও এটা করেছে। আমি কেন মিথ্যা বলব?’
“একজন মহিলা কনস্টেবল আমার সাথে এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি কি তার সাথে কিছু করেছ? তিনি তা অস্বীকার করলেন। তারপর, যখন আমি তাকে আঘাত করার মতো অঙ্গভঙ্গি করলাম, তখন সে আতঙ্কিত হয়ে বলল, হ্যাঁ, দুঃখিত, দুঃখিত।’
এরপর অন্য কারো সঙ্গে এমন ঘটনা না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দেন সেই ছেলেটি।