আড়াইহাজারে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী, সন্তান ও পুত্রবধু মিলে কবির হোসেন (৫০) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। রোববার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের চালাকচর এলাকা রাস্তা পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 
 
এর আগে মাহমুদপুর ইউনিয়নের সালমদী এলাকায় তার নিজ বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত কবির উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের সালমদী গ্রামের মৃত আব্দুর হাসিমের ছেলে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কবির হোসেন প্রথম স্ত্রী রেখে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে তার প্রথম স্ত্রী মাজেদা তার ছেলে সজীবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। রোববার সকালে বাবা-ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে একপর্যায়ে সজীব, তার স্ত্রী ও তার মা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে কবিরকে হত্যা করেন। পরে তার লাশ বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বিশনন্দীর চালক চর এলাকায় রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসে।
 
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা তার প্রথম স্ত্রী মাজেদা ও পুত্রবধু তানহাকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে পাঁচটি রাজ্য সরকার চায় বিএমজেপি

কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি দেশকে পাঁচটি রাজ্যে বিভক্ত করে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা প্রচলনসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টি (বিএমজেপি)। দলটি বলেছে, বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও ভূ-রাজনীতির কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। পৃথিবীর কোনো পরাশক্তি বাংলাদেশকে ছোট করে দেখতে পারবে না। সেজন্য প্রতিবেশী দেশসহ সব দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্কের বিকল্প নেই। অবশ্যই সেই সম্পর্ক হবে সমমর্যাদা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত বিএমজেপি এর সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়। 

দলটির পাঁচদফা দাবিতে আরও রয়েছে, ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ আদর্শ প্রতিষ্ঠা; সর্বস্তরে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করে রাষ্ট্রের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা; জাতীয় শিক্ষাক্রমের সব পর্যায়ে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতিফলনশীল পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন এবং পাঠদানের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়ার পর দলটির পক্ষে আয়োজিত প্রথম এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএমজেপি সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল। দলকে নিবন্ধন দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ভয়কে জয় করে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে বিএমজেপি।

তিনি বলেন, ছাত্রদের গণ-আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতা নিয়ে এসেছে। এ কাজে সেনাবাহিনী ও পুলিশবাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উত্তরণে বড় রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকাও প্রশংসনীয়।
  
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমজেপি এর মহাসচিব দিলীপ রায়, যুগ্ম মহাসচিব ডা. ফাইজুর রহমান, অ্যাডভোকেট তারক চন্দ্র রায় ও অ্যাডভোকেট সুধীর কুমার সূত্রধর।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ