পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকান, এমনকি অস্থায়ীভাবে দেওয়া মেহেদির দোকানগুলো এখন জমজমাট। কিশোরী-তরুণীরা হাত রাঙাতে ভিড় জমাচ্ছেন এসব দোকানে।

প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদ আসার সঙ্গে সঙ্গে মেহেদি শিল্পীদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। 

রবিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী, খিলগাঁও, বাসাবো, মালিবাগ, মৌচাক ও মগবাজার এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানী ফরচুন শপিংমলসহ বিভিন্ন শপিংমলের সামনে অস্থায়ী মেহেদির দোকান বসেছে। এসব দোকানে ২০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের নকশা পাওয়া যাচ্ছে। 
এ ছাড়া ফুটপাতেও অনেক অস্থায়ী মেহেদির দোকান বসেছে। 

শুধু বাংলাদেশেই নয়, উপমহাদেশে ঈদে হাত মেহেদির রঙে রাঙানোর প্রচলন রয়েছে। আধুনিক ডিজাইন ও আরবি নকশার মেহেদির চাহিদা বেশি থাকায় শিল্পীরা নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করছেন। মেহেদি শিল্পীরা জানান, ঈদের সময় তাদের আয় কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সাধারণ দিনে যেখানে ৫ থেকে ১০ জন ক্রেতা পাওয়া যায়, ঈদের সময় সেখানে শতাধিক ক্রেতার হাত তাদের রাঙানোর সুযোগ হয়।

মেহেদি শিল্পীদের মতে, এই মৌসুমই তাদের জন্য সবচেয়ে লাভজনক। তবে ক্রেতাদের সতর্ক থাকা উচিত নকল বা নিম্নমানের মেহেদি থেকে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ভালো মানের মেহেদি ব্যবহার করা উচিত বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
দক্ষিণ বনশ্রীতে হাতে মেহেদির নকশা করতে আসা স্কুলছাত্রী সুমাইয়া বলেন, ঈদের শপিং শেষ, এখন মেহেদি লাগানো বাকি। মেহেদি লাগালেই ঈদের পুরো প্রস্তুতি শেষ হবে।
 
ফরচুন শপিংমলে মেহেদি পরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আফরিন বলেন, প্রতিবছর ঈদের আগের দিন রাতে বাসায় মেহেদি পরতাম। এবার এখানে এসেছি।

আমার হাত ভরে সুন্দর ডিজাইন চাই। তাই বন্ধুদের সঙ্গে হাতে মেহেদির নকশা আঁকাতে এসেছি। বলেন স্কুলছাত্রী তাসফিয়া। 
 

ঢাকা/এনটি//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

স্বর্ণপদক পেলেন শব্দসৈনিক মনোয়ার হোসেন  

স্বর্ণপদকে ভূষিত হলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন খান। রোববার সন্ধ্যায় কবি লিলি হক প্রতিষ্ঠিত সংগঠন চয়ন সাহিত্য ক্লাবের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে এ শব্দসৈনিককে স্বর্ণপদক পরিয়ে দেন ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল। 

শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর এ.এইচ.এম মোস্তাফিজুর রহমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ