চট্টগ্রামে বিএনপি নেতারা কে কোথায় করবেন ঈদ, কী থাকছে আপ্যায়নে
Published: 30th, March 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আসলাম চৌধুরী আট বছর পর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিজ এলাকা সীতাকুণ্ডে এবার ঈদ উদ্যাপন করবেন। এ জন্য উচ্ছ্বসিত কর্মীরাও। আর কর্মীদের আপ্যায়নের জন্য রয়েছে মেজবানি মাংস, পরোটা, মিষ্টি ও সেমাই। আজ রোববার চাঁদ দেখা গেলে কাল সোমবার ঈদ।
শুধু আসলাম চৌধুরী নন, চট্টগ্রাম বিএনপির সব নেতার বাসা কিংবা গ্রামের বাড়িতে কর্মীদের আপ্যায়নের জন্য থাকবে মেজবানি মাংস, পরোটা, জর্দা ভাত, সেমাই ও মিষ্টি। জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ডিসেম্বর কিংবা জুনে। সেই হিসেবে এবারের ঈদটা নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় উদ্যাপন করবেন মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির নেতারা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সময় ১৬ বছর ‘গায়েবি’ মামলায় বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর কারাগারে কেটেছে ঈদ। এবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঈদ উদ্যাপন করতে পারবে বলে খুশি তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আসলাম চৌধুরী জুলাই-আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনের পর গত বছরের ২০ আগস্ট জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান। তাঁর বিরুদ্ধে ৭৬টি মামলা হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে আট বছর কারাগারের চার দেয়ালের ভেতর ঈদ করেছেন আসলাম চৌধুরী। এবার তিন নিজ সংসদীয় এলাকা সীতাকুণ্ডে ঈদ করবেন। এবার নেতার সঙ্গে ঈদ করতে পেরে খুশি কর্মীরাও। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ–আপ্যায়ন সম্পাদক মামুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, এত বছর নেতাকে কাছে পাইনি। নিজেরাও পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে ঈদ উদ্যাপন করেছি আত্মগোপনে থেকে। এবার মন খুলে প্রিয় নেতার সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও তাঁর নগরের মেহেদীবাগের বাসায় ঈদের দিন সকাল থেকে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মো.
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেনও এবার নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঈদ উদ্যাপন করবেন। ২০২১ সালে গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি ঈদ করেছিলেন কারাগারে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৮৮টি। ঈদের দিন সকাল ১০টা থেকে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন মেয়র। পরদিন একটি কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের ব্যবস্থা করেছেন। মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফ উল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের দিন ও পরের দিন নেতা–কর্মীদের মেজবানি মাংস, সেমাই দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে।
গ্রামের বাড়ি হাটহাজারীর মীরেরহাটে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঈদ করবেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন নেতা-কর্মীদের সেমাই, মাংস ও পরোটা দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। পরদিন আমি প্রতিটি ইউনিয়নে নেতা–কর্মীদের ঘরে ঘরে যাব শুভেচ্ছা জানাতে।’ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শাকিলা ফারজানাও হাটহাজারীতে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঈদ উদ্যাপন করবেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মেহেদীবাগের বাসায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও আপ্যায়নের জন্য টাঙানো হয়েছে শামিয়ানা। আজ দুপুরেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ম দ র ন য় আসল ম চ ধ র কর ম দ র স ঈদ র দ ন ন র জন য ব এনপ র ন করব ন কর ম র
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবদ্ধসহ আহত ৪০
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ ৪০ জন আহত হয়েছে। আহতদের সিলেট ও স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, জামালপুর গ্রামের লেবু মিয়া ও রাজ উদ্দিনের পক্ষের লোকজনের মধ্যে জমি দিয়ে বিরোধ চলছিল। কয়েক দিন আগে স্থানীয়রা বিষয়টি সমাধান করে দেন। ঈদের দিন সোমবার লেবু মিয়ার পক্ষের একজন প্রতিপক্ষের লোককে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন সকাল ১১টার দিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গোলগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবদ্ধসহ ৪০ জন আহত হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে এলাকায় সালিশে অংশ নেওয়া ব্যক্তিসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা সিলেট ও জগন্নাথপুরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. তামজিদ হোসেন বলেন, আহতের মধ্যে পাঁচজনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের শরীরে গুলি কিনা রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।