Prothomalo:
2025-04-01@10:53:55 GMT

চাঁদরাত ও ঈদের দিনের আমল

Published: 30th, March 2025 GMT

নতুন চাঁদকে আরবিতে বলে ‘হিলাল’। ‘হিলাল’ হচ্ছে এক থেকে তিন তারিখের চাঁদ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে রোজা ছাড়ো, ইফতার করো বা ঈদ করো।’ যে সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ দেখা যায়, সে রাত হলো ‘চাঁদরাত’। আরবি চান্দ্র বছরের নবম মাস রমজান এবং দশম মাস শাওয়াল।

রমজানের রোজার শেষে পয়লা শাওয়াল ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদ। শাওয়ালের চাঁদরাত হলো ঈদের রাত। ইসলামে যে রাতগুলো ইবাদতের জন্য এবং ফজিলতে পরিপূর্ণ, সেসবের অন্যতম এই ঈদের রাত। চাঁদরাতের প্রথম সুন্নত ও ফরজে কিফায়া আমল হলো সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে চাঁদ দেখা। চাঁদ দেখলে বা চাঁদ দেখার সংবাদ নিশ্চিত হলে দোয়া পড়া সুন্নত (তিরমিজি ৩৪৫১)

আরও পড়ুনসুরা জুমার সারকথা১৬ এপ্রিল ২০২৩

রমজানের ঈদের রাতে পুরুষদের মাগরিব, এশা ও ফজর নামাজ মসজিদে জামাতের সঙ্গে পড়ার চেষ্টা করা এবং নারীদের ফরজ নামাজ আদায় করা। রাতের ইবাদতের জন্য বিশেষভাবে পবিত্রতা অর্জন করা। ইবাদতের উপযোগী ভালো কাপড় পরা। মাগরিবের পর আউওয়াবিন নামাজ পড়া এবং শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া।

রাত জেগে নফল ইবাদত করা। নফল নামাজ পড়া। তাহ্যিয়াতুল অজু, দুখুলুল মসজিদ, তওবার নামাজ, সলাতুল হাজাত, সলাতুত তসবিহ, সলাতুস শোকর ইত্যাদি পড়া। কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করা, সুরা ইয়াসিন, সুরা রহমান, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক, সুরা মুজাম্মিল, সুরা মুদ্দাচ্ছির, সুরা ফাতহ, সুরা নাবা ইত্যাদি পাঠ করা। দরুদ শরিফ পাঠ করা, ইস্তিগফার করা, জিকির করা।

আরও পড়ুনসুরা কাওসারে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে১৭ এপ্রিল ২০২৩

রাসুলুল্লাহ (সা.

) বলেন, যখন ঈদুল ফিতরের দিন আসে, তখন আল্লাহ বান্দাদের বিষয়ে ফেরেশতাদের সঙ্গে গর্ব করে বলেন, হে আমার ফেরেশতারা! যে শ্রমিক তার কাজ পূর্ণ করেছে, তার বিনিময় কী? তারা বলবে, তাদের বিনিময় হলো তাদের পারিশ্রমিকও পরিপূর্ণভাবে পরিশোধ করা। বলবেন, হে আমার ফেরেশতারা! আমার বান্দারা তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করেছে, তারপর দোয়ার উদ্দেশে বের হয়েছে। আমার সম্মান, মহত্ত্ব, করুণা, মাহাত্ম্য ও উচ্চ মর্যাদার শপথ! আমি তাদের প্রার্থনা গ্রহণ করব।

এরপর আল্লাহ বলবেন, তোমরা ফিরে যাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম। তোমাদের মন্দ আমলগুলো নেকিতে পরিবর্তন করে দিলাম। নবীজি (সা.) বলেন, তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে যাবে।

আরও পড়ুনসুরা ইয়াসিনের সার কথা১১ এপ্রিল ২০২৩

ঈদের নামাজ পড়া পুরুষদের জন্য ওয়াজিব। ঈদের নামাজের সময় হলো সূর্যোদয়ের পর থেকে মধ্য দিবসের আগ পর্যন্ত। ঈদের নামাজের আগে পরে কোনো নফল নামাজ পড়া যায় না। ঈদের নামাজের জন্য আজান ও একামত দিতে হয় না।

দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ ছয়টি অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরসহ আদায় করতে হয়। প্রথম রাকাতে সানা পড়ার পর সুরা পড়ার পূর্বে তিনটি তকবির এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কিরাত পড়ার পর রুকুতে যাওয়ার আগে তিনটি তকবির বলতে হয়। প্রতিটি তকবির বলার সময় কান পর্যন্ত উভয় হাত তুলে হাত ছেড়ে দিতে হয়। ঈদের নামাজের পর খুতবা দেওয়া হয়। খুতবা মানে ভাষণ বা বক্তৃতা। ঈদের খুতবা দেওয়া বা শোনা দুটোই ওয়াজিব। সব রকমের খুতবার সময় শ্রোতাদের নীরবতা ওয়াজিব ।

আরও পড়ুনসুরা আর রাহমান কোরআনের প্রসিদ্ধ একটি সুরা১৫ এপ্রিল ২০২৩

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঈদ র ন ম জ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ভোলায় ধর্ষণের অভিযোগে থানা হাজতে আটক ব্যক্তির ‘আত্মহত্যা’

ভোলা সদর মডেল থানার হাজতে ধর্ষণের অভিযোগে আটক এক ব্যক্তি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে থানা হাজতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, হাজতে থাকা জায়নামাজ দিয়ে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।

ওই ব্যক্তির নাম মো. হাসান। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। প্রতিবেশী এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল তাঁকে আটক করে থানা–পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মারা যাওয়া হাসান গতকাল বেলা তিনটার দিকে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে রেফ্রিজারেটরে মাংস রাখতে যান। এ সময় তাঁর বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এরপর এলাকাবাসী হাসানকে ধরে পিটুনি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসানকে আটক করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসার পর রাত আটটার দিকে তাঁকে থানা-হাজতে রাখা হয়। সেখানে রাত ১২টা ১৮ মিনিটে হাজতে থাকা জায়নামাজ দিয়ে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘থানার সিসিটিভির ফুটেজে এ রকম দৃশ্য দেখা গেছে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ এখন ভোলার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ