ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বেরিয়ে আছে শুধু একটি হাত, বাকি শরীর চাপা পড়ে আছে। হাতের কবজির ওই অংশটুকু দেখেই মাকে চিনতে পেরেছেন ছেলে। মায়ের নিথর হাত মুঠো করে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

অনলাইনে ভেসে বেড়ানো এই ভিডিও ফুটেজ মিয়ানমারের। গত শুক্রবার ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এশিয়ার এই দেশ কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পে ধসে পড়ে বহু ভবন ও স্থাপনা। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০–এর বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার।

ভিডিও ফুটেজে মায়ের হাত ধরে কাঁদতে থাকা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘মা, আমি আপনার ছেলে, আপনার নামে ধাম পাঠ করছি।’

এরপর মায়ের হয়ে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘দয়া করে আমার ব্যাপারে নিশ্চিন্তে থাকুন। আপনি যেখানে চান না, তেমন কোনো স্থানে আমি যাব না। আমি বোকার মতো কোনো কাজ করব না। আমি ভালো থাকব, দয়া করে আমার ব্যাপারে নিশ্চিন্তে থাকুন।’

আরও পড়ুনভূমিকম্পের দ্বিতীয় দিনে মিয়ানমার-থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত যা জানা গেল১৯ ঘণ্টা আগে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ব্যক্তি নিজেকে রাজধানী নেপিডোর একজন বাসিন্দা বলে বর্ণনা করেন। তবে ভিডিওটি কোথায় ধারণ করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আরও পড়ুনমিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়াল১৯ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প

এছাড়াও পড়ুন:

ভোলায় ধর্ষণের অভিযোগে থানা হাজতে আটক ব্যক্তির ‘আত্মহত্যা’

ভোলা সদর মডেল থানার হাজতে ধর্ষণের অভিযোগে আটক এক ব্যক্তি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে থানা হাজতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, হাজতে থাকা জায়নামাজ দিয়ে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।

ওই ব্যক্তির নাম মো. হাসান। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। প্রতিবেশী এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল তাঁকে আটক করে থানা–পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মারা যাওয়া হাসান গতকাল বেলা তিনটার দিকে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে রেফ্রিজারেটরে মাংস রাখতে যান। এ সময় তাঁর বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এরপর এলাকাবাসী হাসানকে ধরে পিটুনি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসানকে আটক করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসার পর রাত আটটার দিকে তাঁকে থানা-হাজতে রাখা হয়। সেখানে রাত ১২টা ১৮ মিনিটে হাজতে থাকা জায়নামাজ দিয়ে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘থানার সিসিটিভির ফুটেজে এ রকম দৃশ্য দেখা গেছে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ এখন ভোলার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ