সৌদির সঙ্গে মিল রেখে পিরোজপুরে ঈদ উদযাপন
Published: 30th, March 2025 GMT
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করছেন পিরোজপুর নাজিরপুর উপজেলার অর্ধশত পরিবার। আজ রোববার সকাল ৮টায় উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর খেজুরতলা গ্রামের আল আমীন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের পল্লি চিকিৎসক মো. হুমায়ুন কবির জানান, তারা প্রায় অর্ধশত পরিবারের ৬০ নারী ও পুরুষ স্থানীয় খেজুরতলা বাজারের আল-আমিন মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। ওই নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মাওলানা মো.
তারা গত ১৭ বছর ধরে এ মসজিদে ঈদের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করছেন। তিনি আরও জানান, তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু করেছিলেন। আর সে অনুযায়ী, শনিবার তাদের ২৯টি রোজা পূর্ণ হয়। আজ রোববার তারা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মসজিদের সামনের অংশে নামাজ আদায় করছেন পুরুষ মুসল্লিরা। আর পেছনের অংশে (বারান্দায়) কাপড় দিয়ে আটকে পর্দাবেষ্টিত করে নামাজ আদায় করছেন নারীরা।
নামাজে অংশ নেওয়া স্থানীয় নারীরা জানান, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সবাই একসঙ্গে নামাজ আদায় করছি। নামাজ শেষে ঈমামের নেতৃত্বে বিশ্বের সব নর-নারীর জন্য মঙ্গল কমনা করে দোয়া করা হয়।
প্রসঙ্গত, শুরেশ্বর পীরের অনুসারীরা প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দুই ঈদ পালন করে থাকেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি ত্রিপুরার মহারাজার
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মহারাজা ও টিপরা মোথা নেতা প্রদ্যোৎ মাণিক্য বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন। মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইন ও হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দুটির দাবি, সম্প্রতি চীন সফরের সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নাকি বলেছিলেন, “উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনো উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের দেখভাল করি। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। এটি চীনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হতে পারে।”
প্রদ্যোৎ মাণিক্য দাবি করেছেন, ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের পাহাড়ি মানুষজন ভারতের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন। তখন চট্টগ্রাম বন্দর হাতছাড়া করা ভারতের জন্যে ঠিক হয়নি।
তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, “চট্টগ্রাম বন্দর ত্রিপুরা থেকে খুব একটা দূরে নয়। বাংলাদেশের মধ্যে দিয়েই ভারতের রাস্তা করে নেওয়া উচিত।”
তিনি বলেছেন, “আমাদের আদিবাসীদের সমর্থন করে সমুদ্রে যাওয়ার পথ তৈরি করার সময় এসেছে ভারতের। একসময় চট্টগ্রাম শাসন করত এই আদিবাসীরাই। তাই আমরা আর এই অকৃতজ্ঞ শাসনের উপর নির্ভরশীল নই। ভারতের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ১৯৪৭ সালে বন্দরটি ছেড়ে দেওয়া। সেখানে বসবাসকারী পাহাড়ি জনগণ ভারতের অংশ হতে চাইতেন। জনাব ইউনুস মনে করতে পারেন যে, তিনি সমুদ্রের অভিভাবক, কিন্তু বাস্তবতা হল তিনি প্রায় ৮৫ বছর বয়সি একজন স্টপ-গ্যাপ নেতা। ভুলে গেলে চলবে না, তিনি যে বন্দরের কথা বলছেন তা ত্রিপুরা থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে।”
চিকেনস নেক করিডরে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর জোর না দিয়ে বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিয়ে ত্রিপুরার মহারাজা বলেন, “উদ্ভাবনী ও চ্যালেঞ্জিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করার পরিবর্তে আমরা বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলতে পারি এবং সমুদ্রে যাওয়ার জন্যে আমাদের নিজস্ব রাস্তা পেতে পারি। পার্বত্য চট্টগ্রামে সবসময় আদিবাসী উপজাতিদের বসবাস ছিল। তারা ১৯৪৭ সাল থেকে সবসময় ভারতের অংশ হতে চেয়েছিল। সেখানে লাখ লাখ ত্রিপুরী, গারো, খাসি এবং চাকমা জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বসবাস করছে।”
ঢাকা/শাহেদ