পদ্মা সেতুতে দুই দিনে সোয়া ৮ কোটি টাকা টোল আদায়, আজ যানবাহনের চাপ নেই
Published: 30th, March 2025 GMT
ঈদযাত্রা শুরুর পর গত দুই দিনে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে প্রায় সোয়া আট কোটি টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গতকাল শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার টাকার টোল আদায় করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে পরদিন শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত টোল আদায় হয় ৪ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৩৬ হাজার ৯২৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ২৪ হাজার ৩০৫টি এবং জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ১২ হাজার ৬১৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত দুই প্রান্ত দিয়ে ৩৯ হাজার ৬৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়।
এদিকে মহাসড়ক ও সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন না থাকায় ঈদযাত্রায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা। মাদারীপুরের চন্নোসা গ্রামের বাসিন্দা তারা মিয়া আজ রোববার মোটরসাইকেল নিয়ে ঈদ করতে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক ফাঁকা ছিল। তাই সকাল ৯টায় রাজধানীর ইস্কাটন থেকে রওনা হয়ে সকাল ১০টায় পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় পৌঁছান। টোল প্লাজা এলাকাও ফাঁকা। মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে টোল পরিশোধ করতে পেরেছেন। এখন পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাবেন।
পদ্মা সেতু এলাকায় যানবাহনের চাপ নেই। টোল প্লাজায় এসে মুহূর্তের মধ্যে টোল পরিশোধ করে গন্তব্যে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র র ত ১২ট শ ক রব র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি ত্রিপুরার মহারাজার
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মহারাজা ও টিপরা মোথা নেতা প্রদ্যোৎ মাণিক্য বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন। মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইন ও হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দুটির দাবি, সম্প্রতি চীন সফরের সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নাকি বলেছিলেন, “উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনো উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের দেখভাল করি। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। এটি চীনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হতে পারে।”
প্রদ্যোৎ মাণিক্য দাবি করেছেন, ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের পাহাড়ি মানুষজন ভারতের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন। তখন চট্টগ্রাম বন্দর হাতছাড়া করা ভারতের জন্যে ঠিক হয়নি।
তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, “চট্টগ্রাম বন্দর ত্রিপুরা থেকে খুব একটা দূরে নয়। বাংলাদেশের মধ্যে দিয়েই ভারতের রাস্তা করে নেওয়া উচিত।”
তিনি বলেছেন, “আমাদের আদিবাসীদের সমর্থন করে সমুদ্রে যাওয়ার পথ তৈরি করার সময় এসেছে ভারতের। একসময় চট্টগ্রাম শাসন করত এই আদিবাসীরাই। তাই আমরা আর এই অকৃতজ্ঞ শাসনের উপর নির্ভরশীল নই। ভারতের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ১৯৪৭ সালে বন্দরটি ছেড়ে দেওয়া। সেখানে বসবাসকারী পাহাড়ি জনগণ ভারতের অংশ হতে চাইতেন। জনাব ইউনুস মনে করতে পারেন যে, তিনি সমুদ্রের অভিভাবক, কিন্তু বাস্তবতা হল তিনি প্রায় ৮৫ বছর বয়সি একজন স্টপ-গ্যাপ নেতা। ভুলে গেলে চলবে না, তিনি যে বন্দরের কথা বলছেন তা ত্রিপুরা থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে।”
চিকেনস নেক করিডরে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর জোর না দিয়ে বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিয়ে ত্রিপুরার মহারাজা বলেন, “উদ্ভাবনী ও চ্যালেঞ্জিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করার পরিবর্তে আমরা বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলতে পারি এবং সমুদ্রে যাওয়ার জন্যে আমাদের নিজস্ব রাস্তা পেতে পারি। পার্বত্য চট্টগ্রামে সবসময় আদিবাসী উপজাতিদের বসবাস ছিল। তারা ১৯৪৭ সাল থেকে সবসময় ভারতের অংশ হতে চেয়েছিল। সেখানে লাখ লাখ ত্রিপুরী, গারো, খাসি এবং চাকমা জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বসবাস করছে।”
ঢাকা/শাহেদ