কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন জাহানারা আলম
Published: 30th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অভিজ্ঞ পেসার জাহানারা আলম। মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকায় তিনি চুক্তিতে থাকতে চান না বলে বিসিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছেন। তার অনুরোধ অনুযায়ী বিসিবি ইতোমধ্যে নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
গত ৭ মার্চ বিসিবি নারী উইং ইমেইলের মাধ্যমে তার অবস্থান জানতে চায়। জবাবে জাহানারা জানান, তিনি এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জন্য প্রস্তুত নন এবং চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত জাহানারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আগেই জানিয়েছিলাম, যেন আমাকে চুক্তিতে না রাখা হয়। বিসিবি আবার যোগাযোগ করায় পুনরায় জানিয়ে দিয়েছি যে জাতীয় দলে ফেরার জন্য আমি এখনো প্রস্তুত নই। আরও সময় প্রয়োজন, তাই চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধ করেছি।’
জাহানারা বর্তমানে সিডনি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ক্লাব ক্রিকেট খেলছেন। ক্লাবের আমন্ত্রণে তিনি সেখানে গেছেন এবং বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছেন।
২০১১ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া এই পেসার বাংলাদেশের হয়ে ৫২টি ওয়ানডে ও ৮৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে জাতীয় দলে ফিরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পেলেও কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। সর্বশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেললেও ওয়ানডে দলে ছিলেন দর্শকের ভূমিকায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ হ ন র আলম অন র ধ
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য হটলাইন চালুর ঘোষণা পুলিশের
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জরুরি যোগাযোগের জন্য হটলাইন সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। হটলাইন নম্বরে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে নিরাপত্তাজনিত যেকোনো সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানানো এবং দ্রুত সহায়তা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হলো।
সম্প্রতি গাজায় হামলা নিয়ে বিক্ষোভের সময় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইজিপি ও বিডা চেয়ারম্যান। বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল– নেসলে বাংলাদেশ, কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস, ইউনিলিভার বাংলাদেশ, বাটা সু কোম্পানি বাংলাদেশ, রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ, পেপসিকো ও জুবিল্যান্ট ফুড ওয়ার্কস বাংলাদেশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৭ ও ৮ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন শহরে এসব কোম্পানির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং প্রায় এক ডজন মামলা হয়েছে।
বৈঠকে বিডা চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘আইজিপি, জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ও বিডার কর্মকর্তাদের একসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বসা শুধু সময়োপযোগী নয়, নজিরবিহীন। এটি কেবল একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়। এটি এক ধরনের বার্তা যে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের পাশে আছে, বিশেষ করে যখন চ্যালেঞ্জ আসে।’
তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো হাজার হাজার কর্মজীবী ও তাদের পরিবারের জীবিকার উৎস। প্রতিবাদের অধিকার আছে, কিন্তু যে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মসংস্থান, স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে, সেগুলো ধ্বংস করা কোনো সমাধান নয়। পুলিশের তাৎক্ষণিক সাড়া ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন বিডা চেয়ারম্যান।
প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা ভাঙচুর, ক্ষয়ক্ষতি ও কার্যক্রমে বিঘ্ন নিয়ে সরাসরি অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আইজিপি বাহারুল আলম বিনিয়োগকারীদের পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য এখানে আসিনি, বরং আস্থা গড়ে তুলতে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই এসেছি।’
এ আলোচনার ফলে বিডা, পুলিশ ও ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে একটি প্রতিরোধ পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নতুন নিরাপত্তা প্রটোকল, দ্রুত সাড়া দেওয়া ইউনিট এবং সংকটকালে উন্নত যোগাযোগ চ্যানেল।