থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে শুক্রবারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭-তে পৌঁছেছে। এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ আছেন ৮৩ জন। রবিবার দেশটির উদ্ধারকর্মীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার ভূমিকম্পে ব্যাংককে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ধসে যায়। প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা তিন বলে জানানো হয়েছিল।

রবিবার বিবিসি জানিয়েছে, ব্যাংককের নির্মাণস্থলে জীবিতদের অনুসন্ধান তৃতীয় দিনে প্রবেশ করার সাথে সাথে, অগ্রগতির লক্ষণ খুব কমই দেখা যাচ্ছে। ধসে পড়া টাওয়ারের কাছে ধ্বংসাবশেষের একটি বিশাল স্তূপ দেখা গেছে। খননকারীরা রাতারাতি কত ধ্বংসাবশেষ খনন করেছে এটি তার পরিমাপ।

রবিবার সকালে উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে একজনের জীবনের চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন, যা স্ক্যানার এবং স্নিফার কুকুর দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে। উদ্ধারকারীদের পথ খুঁজে বের করার জন্য একটি রোবট মোতায়েন করা হয়েছে।

থাই কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছিল, তারা কমপক্ষে ১৫ জন জীবিত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে। তবে বেলা গড়ানোর সাথে সাথে তারা দেখতে পেয়েছে যে, কিছু লোক সাড়া দিচ্ছে না।

পরে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তারা মোট ৩০ জনকে শনাক্ত করেছে। তবে তাদের মধ্যে কতজন জীবিত বা মৃত তা জানা যায়নি।

কর্মকর্তারা নিখোঁজ শ্রমিকদের প্রত্যেককে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

শনিবার রাত পর্যন্ত, ব্যাংককজুড়ে এখনো প্রায় ৮৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নির্মাণস্থলে কাজ করা নির্মাণ শ্রমিক।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি ত্রিপুরার মহারাজার

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মহারাজা ও টিপরা মোথা নেতা প্রদ্যোৎ মাণিক্য বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন। মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইন ও হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দুটির দাবি, সম্প্রতি চীন সফরের সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নাকি বলেছিলেন, “উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনো উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের দেখভাল করি। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। এটি চীনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হতে পারে।”

প্রদ্যোৎ মাণিক্য দাবি করেছেন, ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের পাহাড়ি মানুষজন ভারতের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন। তখন চট্টগ্রাম বন্দর হাতছাড়া করা ভারতের জন্যে ঠিক হয়নি।

তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, “চট্টগ্রাম বন্দর ত্রিপুরা থেকে খুব একটা দূরে নয়।  বাংলাদেশের মধ্যে দিয়েই ভারতের রাস্তা করে নেওয়া উচিত।”

তিনি বলেছেন, “আমাদের আদিবাসীদের সমর্থন করে সমুদ্রে যাওয়ার পথ তৈরি করার সময় এসেছে ভারতের। একসময় চট্টগ্রাম শাসন করত এই আদিবাসীরাই। তাই আমরা আর এই অকৃতজ্ঞ শাসনের উপর নির্ভরশীল নই। ভারতের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ১৯৪৭ সালে বন্দরটি ছেড়ে দেওয়া। সেখানে বসবাসকারী পাহাড়ি জনগণ ভারতের অংশ হতে চাইতেন। জনাব ইউনুস মনে করতে পারেন যে, তিনি সমুদ্রের অভিভাবক, কিন্তু বাস্তবতা হল তিনি প্রায় ৮৫ বছর বয়সি একজন স্টপ-গ্যাপ নেতা। ভুলে গেলে চলবে না, তিনি যে বন্দরের কথা বলছেন তা ত্রিপুরা থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে।”

চিকেনস নেক করিডরে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর জোর না দিয়ে বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিয়ে ত্রিপুরার মহারাজা বলেন, “উদ্ভাবনী ও চ্যালেঞ্জিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করার পরিবর্তে আমরা বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলতে পারি এবং সমুদ্রে যাওয়ার জন্যে আমাদের নিজস্ব রাস্তা পেতে পারি। পার্বত্য চট্টগ্রামে সবসময় আদিবাসী উপজাতিদের বসবাস ছিল। তারা ১৯৪৭ সাল থেকে সবসময় ভারতের অংশ হতে চেয়েছিল। সেখানে লাখ লাখ ত্রিপুরী, গারো, খাসি এবং চাকমা জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বসবাস করছে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ