পাবনায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগ: অভিযুক্ত আটক, বাড়িঘরে আগুন
Published: 30th, March 2025 GMT
পাবনা বেড়া পৌর এলাকার শেখপাড়া মহল্লায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি গোলজার হোসেন (৫০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্তের বাড়িঘর ভাঙচুর করে ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। অভিযুক্তকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে স্থানীয়রা।
শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত গোলজার হোসেন বেড়া পৌর সদরের শেখপাড়া মহল্লার মৃত্য সুলতান শেখের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শিশুটি ইফতারের আগ মূহূর্তে অভিযুক্তের বাড়ির পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় আশেপাশে কোন লোকজন না থাকায় শিশুটিকে দশ টাকার লোভ দেখিয়ে তার বাড়ির একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত গোলজার।
পরে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি গিয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনা বললে পরিবারে লোকজন শিশুটিকে দ্রুত বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী অভিযুক্তের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান বলেন, “খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় অভিযুক্ত গোলজার হোসেনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দাায়ের করেছেন। সেই মামলায় অভিযুক্ত গোলজারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
এদিকে ঘটনার পর শিশুটির খোঁজখবর নিতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপি নেতা হাজী মোহাম্মদ ইউনুছ আলী।
তিনি বলেন, “শিশুটির চিকিৎসা ও তার পরিবারকে আইনি সহায়তা দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছি। আমি চাই অভিযুক্ত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ আছে এ ধরনের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর। তারই নির্দেশে আমরা শিশুটির পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি।”
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক ব স পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
মেসির দেহরক্ষীকে নিষেধাজ্ঞা
দিনের প্রায় ২৪ ঘণ্টাই লিওনেল মেসির নিরাপক্ষা নিশ্চিত করেন দেহরক্ষী ইয়াসিন চুকো। মেসির পরিবারকে নিরাপদে রাখতে পালাক্রমে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে ইয়াসিনের ৫০ সদস্যের একটি দল।
কিন্তু যেখানে মেসির সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার সম্ভাবনা বেশি, সেই মাঠেই দেহরক্ষী ইয়াসিনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা ও ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট গোল ডট কম এই তথ্য জানিয়েছে।
ইয়াসিনকে মাঠে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এখন থেকে তিনি আর ইন্টার মায়ামির ম্যাচ চলাকালীন সাইডলাইনে থাকতে পারবেন না। এই নিষেধাজ্ঞা মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) পাশাপাশি কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপেও বলবৎ থাকবে। তবে ইয়াসিন ইন্টার মায়ামির ড্রেসিং রুম ও মিক্সড জোনে মেসির পাশে থাকতে পারবেন।
মাঠে মেসিকে এভাবেই রক্ষা করেন দেহরক্ষী ইয়াসিন