রাত পোহালেই প্রেক্ষাগৃহে ‘সিকান্দর’। উত্তেজনায় ফুটছে সালমান খানের ভক্তমহল। সিনেমার ট্রেলারেই ভাইজান বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে এবার বক্স অফিসের খেলা ঘুরতে চলেছে! এমন আবহে কোনওরকম বিতর্ক চাইছেন না সালমান খান।

অতীতে একাধিকবার বিতর্কের শিরোনামে ঠাঁই পেয়েছেন ভাইজান। এবার ‘সিকান্দার’ সিনেমা প্রচারে গিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘অনেক বিতর্ক দেখেছি জীবনে। আর কোনও বিতর্ক চাই না ভাই। তাছাড়া আমার মনে হয় না, বিতর্ক দিয়ে সিনেমা হিট করানো যায়। অনেক সময় যে এই বিতর্কের জেরেই সিনেমার মুক্তি পিছিয়ে যায়, তেমন ঘটনার সাক্ষীও থেকেছি আমরা। এমনও হয়েছে, শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত রিলিজ ডেট পিছিয়েছে। এখনও হাতে সময় আছে। আরও ৩-৪ দিন যেতে দাও, সিনেমাটা রিলিজ করুন।’ 

এরপর তিনি সালমান বলেন, “তবে বর্তমানে এটা সত্যিই ট্রেন্ড হয়েছে দেখছি। এই তো বছর খানেক আগে বিতর্কে পড়ে আমাকে ‘লাভরাত্রি’ সিনেমাটার নাম বদলে ফেলতে হয়েছিল। যদিও তার কোনও দরকার ছিল না, আর আমরা চাইওনি নামটা বদলাতে। তবে একটাই আর্জি, আমাদের পরিবার থেকে এই বিতর্ক বিষয়টা দূরে থাকুক। ইহজীবনেই অনেক দেখে ফেলেছি আর নয়!”

এদিকে রিলিজের আগেই শনিবার ‘সিকান্দার’ সালমানের পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। তাঁর অভিনীত ‘ভূতনি’ সিনেমার ট্রেলার লঞ্চে গিয়ে তার মন্তব্য, ‘ট্রেলার তো সুপারহিট। আমার ছোট ভাই, ওর জন্য আমি সবসময়ে প্রার্থনা করি। ঈশ্বর ওকে অঢেল দিয়েছেন, আর এই সিনেমাটাও সুপারহিট হবে।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি ত্রিপুরার মহারাজার

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মহারাজা ও টিপরা মোথা নেতা প্রদ্যোৎ মাণিক্য বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন। মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইন ও হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দুটির দাবি, সম্প্রতি চীন সফরের সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নাকি বলেছিলেন, “উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনো উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের দেখভাল করি। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। এটি চীনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হতে পারে।”

প্রদ্যোৎ মাণিক্য দাবি করেছেন, ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের পাহাড়ি মানুষজন ভারতের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন। তখন চট্টগ্রাম বন্দর হাতছাড়া করা ভারতের জন্যে ঠিক হয়নি।

তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, “চট্টগ্রাম বন্দর ত্রিপুরা থেকে খুব একটা দূরে নয়।  বাংলাদেশের মধ্যে দিয়েই ভারতের রাস্তা করে নেওয়া উচিত।”

তিনি বলেছেন, “আমাদের আদিবাসীদের সমর্থন করে সমুদ্রে যাওয়ার পথ তৈরি করার সময় এসেছে ভারতের। একসময় চট্টগ্রাম শাসন করত এই আদিবাসীরাই। তাই আমরা আর এই অকৃতজ্ঞ শাসনের উপর নির্ভরশীল নই। ভারতের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ১৯৪৭ সালে বন্দরটি ছেড়ে দেওয়া। সেখানে বসবাসকারী পাহাড়ি জনগণ ভারতের অংশ হতে চাইতেন। জনাব ইউনুস মনে করতে পারেন যে, তিনি সমুদ্রের অভিভাবক, কিন্তু বাস্তবতা হল তিনি প্রায় ৮৫ বছর বয়সি একজন স্টপ-গ্যাপ নেতা। ভুলে গেলে চলবে না, তিনি যে বন্দরের কথা বলছেন তা ত্রিপুরা থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে।”

চিকেনস নেক করিডরে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর জোর না দিয়ে বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিয়ে ত্রিপুরার মহারাজা বলেন, “উদ্ভাবনী ও চ্যালেঞ্জিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করার পরিবর্তে আমরা বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলতে পারি এবং সমুদ্রে যাওয়ার জন্যে আমাদের নিজস্ব রাস্তা পেতে পারি। পার্বত্য চট্টগ্রামে সবসময় আদিবাসী উপজাতিদের বসবাস ছিল। তারা ১৯৪৭ সাল থেকে সবসময় ভারতের অংশ হতে চেয়েছিল। সেখানে লাখ লাখ ত্রিপুরী, গারো, খাসি এবং চাকমা জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বসবাস করছে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ