ঈদ উদ্যাপনে বাড়ি যাওয়ার পথে মা ও দুই মেয়েসহ একই পরিবারের ৪ জন নিহত
Published: 30th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বাসচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার ভোরে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের গৌরীপুরের চন্দ্রাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মোসাম্মৎ কুলসুমা বেগম (৯৫), তাঁর মেয়ে মোসাম্মৎ দিলরুবা (৪০), দিলরুবা মেয়ে রীতি আক্তার (১৪) ও প্রীতি আক্তার (৭)। কুলসুম বেগমের বাড়ি গৌরীপুরের ভাংনামারী ইউনিয়নের দুর্বারচর গ্রামে। দিলরুবা বেগম নগরের নাটকঘর লেনে বসবাস করতেন। সেখান থেকে ঈদ উদ্যাপন করতে তাঁরা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, আজ সকাল পৌনে ছয়টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের গৌরীপুরের চন্দ্রাপাড়া মোড় এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। ময়মনসিংহ থেকে গৌরীপুরগামী অটোরিকশাটিকে পেছন দিক থেকে আসা একটি বাস চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় চালক, যাত্রীসহ সাতজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনগাজীপুরে বাস-আটোরিকশা সংঘর্ষে দম্পতিসহ নিহত ৩২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, ময়মনসিংহ থেকে গৌরীপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিল পরিবারটি। দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় মাহিন্দ্রা ট্রাক ও মিনিবাসের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আজ সকাল সাতটার দিকে উপজেলার কাঁঠালী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহগামী লেনে চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের একটি মিনিবাস একটি মাহিন্দ্রা ট্রাক ওভারটেক করতে গিয়ে রাস্তার পাশের বিদ্যুতের খুঁটিতে লাগে। মিনিবাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধ নারী নিহত হন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা–পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী এসে উদ্ধার কাজ করে।
ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। নিহত বৃদ্ধার পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
কয়েক লাখ মুসল্লির সমাগমে জনসমুদ্র শোলাকিয়া, শান্তি কামনা করে মোনাজাত
ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে এসেছিলেন আবদুল মতিন। কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে স্বস্তিতে নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবারও শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করে মাহবুবুর রহমান বাড়ি ফেরার সময় বলেন, ‘এর আগে কখনো এত মুসল্লি শোলাকিয়ায় দেখিনি। বড় মাঠে দোয়া কবুল হয়, সেই বিশ্বাসেই ১০ বছর বয়স থেকে এলাকার লোকদের সঙ্গে শোলাকিয়ায় নামাজ পড়তে আসতাম। মাঝখানে নানা কারণে আসা হয়নি। তবে এবার নামাজ পরে অনেক শান্তি পেয়েছি। আল্লাহ যত দিন বাঁচিয়ে রাখেন তত দিনই আসব।’
৮৫ বছর বয়সী মো. সুরুজ আলী। তিনি জানালেন, তিনি পাকিস্তান আমল থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ পড়তে আসেন। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দায়। প্রতিবারের মতো এবারও এক দিন আগে তিনি শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ পড়তে চলে এসেছেন। সুরুজ আলী জানান, বড় মাঠে বেশি সওয়াব ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় তিনি প্রায় ৬৫ বছর ধরে শোলাকিয়া ঈদগাহে আসছেন।
শুধু সুরুজ আলী নন, দেশের নানা প্রান্ত থেকে কয়েক শ লোক শোলাকিয়ায় ঈদের নামাজ পড়তে দু–এক দিন আগেই চলে আসেন। ঐতিহাসিক এ ঈদগাহে নামাজ পড়বেন বলে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে মফিজুর রহমান নামের একজন গত শনিবার সকালেই কিশোরগঞ্জে চলে আসেন। তিনি পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক প্রবাসী। ২০-২৫ বছর থেকে তাঁর ইচ্ছা ছিল শোলাকিয়ার ঈদগাহে নামাজ পড়বেন। কিন্তু দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় সময়–সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাই এবার মোজাম্বিক থেকে নিয়ত করেই দেশের বাড়িতে আসেন এবং সেখান থেকে শোলাকিয়ায় চলে আসেন। নামাজ শেষে তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।
শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়কে বিভিন্ন জেলা থেকে দুয়েকদিন আগেই কিশোরগঞ্জ সদরে চলে আসেন অনেকে। তাঁরা রাত্রী যাপন করেন রোববার রাতে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া বাগে জান্নাত গোরস্তান মসজিদে