ঈদে বাড়ি ফিরছিলেন, পথে প্রাণ গেল মা ২ মেয়ে ও নানীর
Published: 30th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ট্রাকের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের মা, ২ মেয়ে ও নানী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
রোববার সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে গাজীপুর এলাকার প্রগতি ফিড মিলের সামনে ময়মনসিংহগামী ট্রাকের সঙ্গে গৌরীপুরগামী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, একই উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের দুব্রারচর গ্রামের কুলসুমা বেগম (৯৫), মেয়ে মো.
এছাড়াও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন একই পরিবারের দুই মেয়ে মাহি (১৬) ও শ্যামলী (২০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাক্তার জাকিউল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৬টায় গৌরীপুর থেকে ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অটোরিকশার চালক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
নিহত দিলরুবার মামা কামরুল হাসান আকন্দ জানান, দিলরুবা-মানিক দম্পতি গ্রামের বাড়ি গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নে। পড়ালেখা ও কর্মসূত্রে তারা ময়মনসিংহ নগরীর নাটক ঘরের এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ঈদের ছুটিতে তারা ময়মনসিংহের বাসা থেকে অটোরিকশা যোগে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পরে তাদের অটোরিকশাটি ময়মনসিংহগামী ট্রাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ৩ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় দিলরুবার। একই পরিবারের আহত ২ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত দিলরুবার ভাই আয়তুল ইসলাম বলেন, একটি দুর্ঘটনায় আমাদের পুরো পরিবারটি ধ্বংস হয়ে গেল। ঈদের আনন্দে তারা বাড়ি যাচ্ছিল, আমাদের পরিবারে আর কোনদিন ঈদের আনন্দ আসবে না।
পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনায় ট্রাকচালক দ্রুত পালিয়ে যায়। আমরা হাসপাতালে খোঁজ খবর রাখছি। পরবর্তীতে আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক
চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ। মঙ্গলবার তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন জায়গাটিকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. জুবায়ের আল মামুন ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের খবরের পর মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা নেমে এসেছে। উচ্ছ্বসিত এ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলও হয়েছে।
ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় রংপুর বিভাগের আশপাশে ১০ থেকে ১২ একরের মধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে ২০ থেকে ২৫ একর জমি পাওয়া যাবে। ফলে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এটি আরও উপযোগী হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক এ জায়গাটির বিষয়ে প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি উপযোগী স্থান। এই জায়গা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি।
ডা. হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়। পাশেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সড়ক পথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এই স্থানটিকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।