শুধু আওয়ামী লীগ নয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত যেকোনো দলের অপতৎপরতা প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। আজ রোববার সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে এসে এসব কথা জানান ঢাকার পুলিশ প্রধান।

তিনি বলেন, এবারের ঈদে সুনির্দিষ্ট কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। তবে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ রাজধানীর ঈদ জামাতগুলো ঘিরে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সারাদেশের মতো ঢাকা মহানগরীতেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন। এবার নিরাপত্তায় ১৫ হাজার পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সিটিটিসি, এটিইউ সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। এছাড়াও শতাধিক সিসি ক্যামেরার নজরদারিও থাকবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এমপ ঈদগ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল নিয়ে যা বলছে পুলিশ 

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও তাদের সমভাবাপন্ন বিভিন্ন সংগঠন ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

শনিবার (১৯ এপিল) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স) উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, পুলিশের গতিবিধি অনুসরণ করে তারা কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে দু-এক মিনিট মিছিল করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে এসব মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে তাদের অস্তিত্বের জানান দেয়।

তিনি আরো জানান, এসব দুর্বৃত্তদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হলেও পরবর্তীতে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অনেককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। জনবিচ্ছিন্ন ও বেআইনি এসব সংগঠনের অপতৎপরতা রোধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। সর্বসাধারণকে এসব সংগঠনের বিচ্ছিন্ন অপতৎপরতা সম্পর্কে অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের এই ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার ও সরকার পতন আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতাকে ’হত্যা’ ও অসংখ্য মানুষের ‘জীবন বিপন্ন‘ করা এবং বিভিন্ন সময় ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।

ঢাকা/এমআর/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলে আতঙ্কিত না হতে ডিএমপির অনুরোধ
  • ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল নিয়ে যা বলছে পুলিশ