রোজা রাখা সওয়াবের কাজ হলেও বেশ কয়েকটি দিন এমন আছে, যখন রোজা রাখাটা পুণ্যের নয় বরং পাপের কাজ। কারণ এই দিনগুলো আনন্দ উদ্যাপনের জন্য। এমন দিন মোট ৫টি।
রোজা রাখা নিষিদ্ধ ৫দিন
১. ঈদুল ফিতরের দিন, ২. ঈদুল আজহার দিন (জিলহজ মাসের দশ তারিখ), ৩. জিলহজ মাসের এগারো তারিখ, ৪. জিলহজ মাসের বারো তারিখ, ৫। জিলহজ মাসের তেরো তারিখ। শেষের ৩টি দিনকে বলা হয়, তাশরিকের দিন বা আইয়ামে তাশরিক।
কেন নিষিদ্ধ
দুই ঈদের দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ। কারণ ঈদের দিন হলো আনন্দের দিন। এ-ব্যাপারে সকল আলেম ঐকমত্য প্রকাশ করেছেন। আবু সাইদ খুদরি (রা.
তাশরিকের দিনগুলোতে রোজা রাখাও নিষিদ্ধ। অর্থাৎ, ঈদুল আজহার পরের তিনদিন (১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ্জ)। রাসুল (সা.) বলেছেন, তাশরিকের দিনগুলো পানাহার ও আল্লাহ্কে স্মরণ করার দিন। (মুসলিম, হাদিস: ১১৪১)
অন্য হাদিসে আছে, এ-দিনগুলোতে রাসুল (সা.) আমাদের রোজা না-রাখার নির্দেশ দিতেন এবং রোজা রাখতে নিষেধ করতেন। ইমাম মালেক (রহ.) বলেন, সেই দিনগুলো হলো তাশরিকের দিন। (আবু দাউদ, হাদিস: ২৪১৮)
কার জন্য ব্যতিক্রম
যে হাজি কোরবানির পশু সংগ্রহ করতে পারেন নি তার জন্যে এ-সময়ে রোজা রাখা বৈধ। আয়েশা (রা.) ও ইবনে ওমর (রা.) উভয়ে বলেন, যে ব্যক্তি হজে গিয়ে কুরবানির পশু সংগ্রহ করতে পারেনি সে ব্যক্তি ছাড়া তাশরিকের দিনগুলোতে অন্য কাউকে রোজা রাখার অবকাশ দেয়া হয়নি। (বুখারি, হাদিস: ১,৯৯৮)
শাইখ উসাইমিন (রহ.) বলেন, কারও যদি দুই মাসের লাগাতার রোজা রাখা ফরজ হয়ে থাকে সে ব্যক্তিও ঈদের দিন এবং ঈদের পর আরও তিনদিন রোজা রাখবে না। এ দিনগুলোর পর পুনরায় লাগাতার রোজা থাকা শুরু করবে। (ফাতাওয়া রমাদান, ৭২৭)
আরও পড়ুনসুরা হাশরের শেষ ৩ আয়াতের ফজিলত১৩ জুলাই ২০২৪কার জন্য ব্যতিক্রম
যে হাজি কোরবানির পশু সংগ্রহ করতে পারেন নি তার জন্যে এ-সময়ে রোজা রাখা বৈধ। আয়েশা (রা.) ও ইবনে ওমর (রা.) উভয়ে বলেন, যে ব্যক্তি হজে গিয়ে কুরবানির পশু সংগ্রহ করতে পারেনি সে ব্যক্তি ছাড়া তাশরিকের দিনগুলোতে অন্য কাউকে রোজা রাখার অবকাশ দেয়া হয়নি। (বুখারি, হাদিস: ১,৯৯৮)
শাইখ উসাইমিন (রহ.) বলেন, কারও যদি দুই মাসের লাগাতার রোজা রাখা ফরজ হয়ে থাকে সে ব্যক্তিও ঈদের দিন এবং ঈদের পর আরও তিনদিন রোজা রাখবে না। এ দিনগুলোর পর পুনরায় লাগাতার রোজা থাকা শুরু করবে। (ফাতাওয়া রমাদান, ৭২৭)
আরও পড়ুনযেভাবে নির্মিত হলো মসজিদে নববি০৭ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এপ্রিলে কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড়ের আভাস
বঙ্গোপসাগরে চলতি এপ্রিল মাসে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এর ফলে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানতে পারে। এছাড়া, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. মমিনুল ইসলামের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন মডেল পূর্বাভাস, আবহাওয়া উপাত্ত, ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়ার মানচিত্র ও জলবায়ু মডেল বিশ্লেষণ করে এপ্রিল মাসের জন্য এ পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিসের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ সময় দেশে ৫ থেকে ৭ দিন বজ্র এবং শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, ১ থেকে ৩ দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এতে জানানো হয়, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এপ্রিলে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এ সময় দেশে ২ থেকে ৪টি মৃদু অথবা মাঝারি এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ঢাকা/হাসান/ইভা