কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটি ভেঙে প্রেসক্লাব দখল ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি সুজন মোহন্তকে গালিগালাজ ও ডেকে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কালবেলার জেলা প্রতিনিধি সাঈয়েদ আহমেদ বাবুর বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ১১টার দিকে কুড়িগ্রাম পৌরসভা সংলগ্ন একটি মোটরসাইকেল শোরুমের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, গত ১ সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের বাইরে থাকা সাংবাদিকরা প্রেসক্লাব দখল করতে একটি ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটিতে সুজন মোহন্ত নাম অন্তর্ভুক্তের ব্যাপারে অপারগতা জানালে শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে সাইয়েদ আহমেদ বাবু ফোনে গালিগালাজ করেন। প্রতিবাদ জানাতে গেলে সুজন মোহন্তকে বেধরক মারপিট করেন তিনি।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক সুজন মোহন্ত বলেন, আমি প্রেসক্লাব দখলের পক্ষে না। আমাকে প্রস্তাব দিলে আমি তা প্রত্যাখান করি ও প্রতিবাদ জানাই। যার কারণে তিনি প্রথমে ফোনে গালিগালাজ ও পরে মারধর করেন।

হাসপাতালে অবস্থানরত সুজন মোহন্তের বন্ধু অমিত চন্দ্র পাল জানান, অভিযুক্ত সাঈয়েদ আহমেদ বাবু মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি যে ফোনে গালিগালাজ করেছেন তার প্রমাণ আছে। এছাড়াও মারধরের পর তিনি বিষয়টির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। বিষয়টিকে এখন তিনি তার গ্রুপের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনাটি কাকতালীয়ভাবে ঘটেছে। আমার করার কিছু ছিল না।

কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রেসক্লাব ভাঙার ষড়যন্ত্রে সুজন লিপ্ত না হওয়ায় পেশিশক্তি দেখিয়েছেন অপসাংবাদিকরা।

টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সদস্য মো.

বাদশা সৈকত বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। 

কুড়িগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ ন ক সমক ল ম রধর ম রধর র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

এপ্রিলে কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড়ের আভাস

বঙ্গোপসাগরে চলতি এপ্রিল মাসে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এর ফলে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানতে পারে। এছাড়া, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।    

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. মমিনুল ইসলামের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন মডেল পূর্বাভাস, আবহাওয়া উপাত্ত, ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়ার মানচিত্র ও জলবায়ু মডেল বিশ্লেষণ করে এপ্রিল মাসের জন্য এ পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিসের বিশেষজ্ঞ কমিটি। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ সময় দেশে ৫ থেকে ৭ দিন বজ্র এবং শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, ১ থেকে ৩ দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এতে জানানো হয়, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 
এপ্রিলে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এ সময় দেশে ২ থেকে ৪টি মৃদু অথবা মাঝারি এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
 

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ