পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদযাত্রার শেষ দিন আজ রোববার। আজও কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখী মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো।

আজ সকাল থেকেই স্টেশনের প্রবেশ ফটক, টিকিট কাউন্টার, প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের বগির ভেতরে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। অনেক ট্রেনের কিছু বগি যাত্রীতে ঠাসা দেখা যায়। তবে কিছু ট্রেনে তুলনামূলকভাবে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল।

আজ সকাল ১০টা ১০ মিনিটে স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে জামালপুর এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। ট্রেনটির কিছু বগিতে মাঝের হাঁটাচলার জায়গায় বসে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কেউ কেউ। কিছু লোক আবার শৌচাগারের পাশে, কেউবা দুই বগির সংযোগস্থলে জায়গা নেন। তবে কিছু বগিতে নির্ধারিত আসনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীর সংখ্যা খুব বেশি ছিল না।

এই ট্রেনের একটি বগিতে স্বামী, শাশুড়ি, ননদ, দেবর ও ছয় মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন দীপা আক্তার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রামে যাচ্ছি, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদ পালন করব। অনেক ভালো লাগছে।’

সন্তানকে নিয়ে প্রথমবার ঈদযাত্রার অভিজ্ঞতা জানিয়ে দীপা আক্তার বলেন, ‘আগের ঈদযাত্রার অভিজ্ঞতা খুবই বাজে। এ কারণে শঙ্কায় ছিলাম, এত ছোট ছেলেকে নিয়ে কীভাবে যাব? কিন্তু স্টেশনে এসে দেখলাম, পরিস্থিতি বেশ ভালো। কোনো ভোগান্তি হয়নি। ভেতরে একটু গরম লাগছে। আশা করছি ট্রেন ছাড়লেই ঠিক হয়ে যাবে।’

একই চিত্র দেখা গেছে ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে সকাল ১০টা ২২ মিনিটে ছেড়ে যাওয়া একতা এক্সপ্রেসে। ট্রেনটির শোভন ও সুলভ শ্রেণির কোচে যাত্রীদের ভিড় ছিল। নির্ধারিত আসনের বাইরেও দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী দেখা গেছে। ট্রেনের দরজায়, সিঁড়িতেও দাঁড়ানো যাত্রীদের দেখা গেছে।

এই ট্রেনের যাত্রী আবদুল গনি চৌধুরী বলেন, নির্ধারিত আসনের বাইরে স্টেশনের বাইরে থেকে জরিমানা কেটে অনেকের কাছে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। টিকিট পরীক্ষকেরা (টিটিই) যে যাঁর মতো এই টিকিট বিক্রি করছেন। ফলে বগির ভেতরে ভিড় হচ্ছে। এ ছাড়া সার্বিকভাবে ঈদযাত্রার অভিজ্ঞতা এখন পর্যন্ত স্বস্তির।

অন্যদিকে বেসরকারি কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাউন্টারেও আজ বিগত দিনগুলোর তুলনায় যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। আজ সকাল ১০টা দিকে কাউন্টারের সামনে নারী ও পুরুষের দুটি সারিতেই টিকিটের জন্য শতাধিক মানুষ দেখা গেছে।

প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সকাল ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন বলে জানান শিহাব উদ্দীন। তিনি বলেন, দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের রাজশাহী কমিউটার (৫ নম্বর) ট্রেনের টিকিট লাগবে। কিন্তু ১০টা বাজলেও তিনি কাউন্টার পর্যন্ত যেতে পারেননি।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৫টি আন্তনগর ট্রেন কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। প্রতিটি ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে ঢাকা ছেড়েছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজই ঈদযাত্রার শেষ দিন। ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ কাটানোর আশায় রাজধানী ছাড়ছেন অনেকে। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে স্টেশনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঈদয ত র র

এছাড়াও পড়ুন:

এপ্রিলে কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড়ের আভাস

বঙ্গোপসাগরে চলতি এপ্রিল মাসে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এর ফলে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানতে পারে। এছাড়া, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।    

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. মমিনুল ইসলামের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন মডেল পূর্বাভাস, আবহাওয়া উপাত্ত, ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়ার মানচিত্র ও জলবায়ু মডেল বিশ্লেষণ করে এপ্রিল মাসের জন্য এ পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিসের বিশেষজ্ঞ কমিটি। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ সময় দেশে ৫ থেকে ৭ দিন বজ্র এবং শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, ১ থেকে ৩ দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এতে জানানো হয়, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 
এপ্রিলে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এ সময় দেশে ২ থেকে ৪টি মৃদু অথবা মাঝারি এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
 

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ