যশোরে চোখ তুলে নেওয়া সেই বেয়াইয়ের মৃত্যু
Published: 30th, March 2025 GMT
যশোরে চোখ তুলে নেওয়ার ঘটনায় গুরুতর আহত সিরাজুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
নিহতের ছেলে মফিজুল ইসলাম ইমন জানান, বর্তমানে তার বাবার মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে রাখা হয়েছে। আজ রোববার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ যশোরে নেওয়া হবে। এর আগে শনিবার সকালে যশোর শহরের বাহাদুর জেস গার্ডেন পার্কের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও জানান, পুরো ঘটনার পেছনে মূলত আর্থিক লেনদেনের জেরে বিরোধ তৈরি হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
তিনি বলেন, “আমরা খুব দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে প্রকৃত ঘটনা জানাব এবং এরপর আইনি ব্যবস্থা নেব।”
অন্যদিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাসি বেগম পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ জানান, সিরাজুল ইসলাম তাকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন, যা থেকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এনায়েতনগর ইউপিকে আওয়ামী লীগের দোসর থেকে মুক্ত করতে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদকে আওয়ামী লীগ দোসর মুক্ত রাখতে জোড়ালো প্রতিবাদ সহ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দরা। আওয়ামী লীগের দোসর সকল মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে পরিষদের কার্যক্রম চালানোর দাবি জানানো হয়।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১২ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিএনপির এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে।
এদিকে সমাবেশে বক্তারা বলেন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সহ সকল মেম্বাররা আওয়ামী লীগ সহ আওয়ামী লীগের দোসর। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে রয়েছে।
তার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে একজনকে দায়িত্ব দেয়ার বিধান থাকলেও সবাই আওয়ামী লীগের দোসর। তারা দিনের ভোট রাতে করে চেয়ারম্যান মেম্বার হয়েছে। এই অবৈধ নির্বাচনের মেম্বার চেয়ারম্যানদের জনগণ কিছুতেই মেনে নিবে না। তারা বিগত আমলে লুটপাট করেছে নতুন করে আবার লুটপাট করবে সেই সুযোগ জনগণ আর দিবে না। তাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে আওয়ামী লীগের কোন দোসরকে না দিয়ে সরকারি ভাবে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হউক।
বক্তারা আরো বলেন, যারা এসি রুমে বসে চিন্তা ভাবনা করছেন আওয়ামী লীগের দোসর একজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়ে ফায়দা লুটে নিবেন সেই সুযোগ এনায়েতনগর ইউনিয়নের জনগন তা কিছুতেই মেনে নিবে না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগের দোসর মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হউক। নতুবা কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সমাবেশে এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এসএম মাহমুদুল হক আলমগীরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির চৌধুরী,সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম লিটন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা শরীফ মায়া, সহসভাপতি রোজিনা আক্তার, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান, এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির হোসেন প্রমুখ।